রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহসড়কে স্থানীয় যাত্রীবাহি বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
আলমগীর মানিক,রাঙামাটি :
সিএনজি চালক ও যাত্রীবাহি বাস চালকদের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্ধের কারনে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মোটর মালিক সমিতি। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের অক্সিজেন বাস ষ্টেশন এলাকায় সংঘটিত এই ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মোটর মালিক সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছাবের আহাম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে যাত্রীবাহি বাস মালিক সমিতির নিকট বরাদ্দ দেওয়া হয় অক্সিজেন বাস ষ্টেশনের জায়গাটি। কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবৎ চট্টগ্রাম রেজিষ্টেশনকৃত সিএনজি অটোরিক্সাগুলোকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে বাস ষ্টেশন এলাকায় রেখে ৩শ টাকা করে টোকেন বিক্রি করছে কিছু অসাধু সিএনজি চালক। বারংবার তাদেরকে নিষেধ করলেও তারা তা শুনেই না বরং বাস চালকদের সাথে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। আর এনিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক হলেও সিএনজি চালকরা তা মানেনি।
শুক্রবারও তাদের এমন কর্মকান্ড চালাতে থাকলে বেশ কয়েকজন বাস ড্রাইভার তাদেরকে এহেন কর্মকান্ড থেকে সিএনজি চালকদের বিরত থেকে বাস ষ্টেশন এলাকা থেকে সিএনজি অটো রিক্সাগুলো সরিয়ে ফেলতে অনুরোধ জানালে, সিএনজি চালকরা সংগঠিত হয়ে বাস চালকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছাবের আহাম্মেদ। আর এই ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জনের মতো আহত হয়েছে বলেও জানা তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম রেজিষ্টেশনকৃত সিএনজি অটোরিক্সাগুলো মেট্রো এলাকায় ঢুকতে পারেনা, আর সিএনজি অটোরিক্সাগুলো থাকার কথা বিআরটিসি ডিপুর কাছাকাছি স্থানে। কিন্তু তারা তা নাকরে অক্সিজেনে এসে বাস ষ্টেশনে এসে যত্রতত্র পার্কিং করে যারফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর এতে তাদেরকে বাধাঁ দিতে গেলে বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের উপরও হামলা চালায় সিএনজি চালকরা। সিএনজি চালকদের এহেন কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহি পাহাড়িকা ও বিরতীহীন বাস সার্ভিস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান ছাবের আহাম্মদ।
এদিকে সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানাগেছে, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শনিবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আর এই বৈঠকের পরই রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মোটর মালিক সমিতি সিদ্ধান্ত নিবে ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে কিনা? এমনই মন্তব্য করলেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাবের আহাম্মদ।