রাঙামাটি পৌরসভার অব্যবস্থাপনায় চম্পক নগরবাসীর দূর্ভোগ

rangamati-powrashava-pic-30-12-16-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাঙামাটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত অভিজাত এলাকা চম্পক নগর। পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকাটিতে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, জেলা পরিষদ সদস্য জেবুন্নেসা রহিম, রাঙামাটি পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জোবাইতুন নুরসহ গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের বসবাস। আর এলাকার মুখেই বসবাস বর্তমান পৌর পিতা আকবর হোসেন চৌধুরীর। কিন্তু এলাকায় চলাচলের রাস্তাটি দেখলে মনে হবে এ যেন  এক অজোপাড়া গাঁ। এক দিকে খানা খন্দকে ভরা রাস্তা অপরদিকে রাস্তার উপর ময়লার ভাগাড়। এ অবস্থায় চরম অস্বস্থিতে চলা ফেরা এলাকাবসীর। রাস্তার কয়েকটি অংশ এতোই বিধ্বস্ত যে শুধু যান চলাচল নয় সন্ধ্যার পর পায়ে হাঁটাও ঝুকিপূর্ণ। সাবেক পার্বত্য মন্ত্রীর বাসভবনের ৫০ গজ সামনে এক বিশাল ময়লার ভাগাড়। চিত্র দেখলে বোঝা মুশকিল এটি রাস্তা নাকি ডাস্টবিন। এর ওপর দিয়ে নাক চেপে চলাচল করছে এলাকাবসী। ওই এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। প্রতিদিন চলাচল করছে হাজার হাজার জনসাধারণ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী। সরকার দলের অনেক হর্তা-কর্তার বসবাসের পরও চম্পকনগরের রাস্তা ও পরিবেশের এ অবস্থা হতাশ করেছে ওই এলাকায় বসবাসকারীদের।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা বিশাল ময়লার স্তুপে বসেছে গরু, কুকুরের মেলা। ফলে রাস্তায় পথচারী ও যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। নাকে হাত দিয়ে রাস্তায় হাঁটছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় চরম অস্বস্থিতে রয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষোভ আর অসন্তোষ প্রকাশ করেন অনেকে।

ওই এলাকায় কর্মরত এনজিও কর্মী বাপ্পি তঞ্চঙ্গ্যা জানান, রাস্তার অবস্থা দেখলে মনে হয়না আমরা পৌর এলাকায় আছি। এসব দেখার দায়িত্ব যাদের তারা কি করেন এমন প্রশ্ন তার। একজন পথচারী নাম প্রকাশ না করে বলেন, যে এলাকায় এতো বড়ো বড়ো ব্যক্তিদের বসবাস সেখানে এ অবস্থা আমাদের রীতিমতো হতাশ করে।

ওই এলাকার বাসিন্দা সংবাদকর্মী চৌধুরী হারুনুর রশীদ বলেন, চম্পকনগর এলাকাটি রাঙামাটি শহরের অন্যতম ভিআইপি এলাকা কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকে এলাকায় চলাচলের রাস্তার অবস্থা ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা নাজুক। আবাসিক এলাকায় বেশিরভাগ সময় রাস্তার ওপর ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকায় দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর কালায়ন চাকমা বলেন, “চম্পক নগরের রাস্তা ও বর্জ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ওই এলাকার রাস্তাটি পৌরসভার চলমান প্রকল্প ইউজিপ-২ এর আওতায় কাজ শুরু হবে। আর ময়লা আবর্জনা যথা সময়ে পরিষ্কারের ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষ চিন্তা ভাবনা করছে”।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন