রাঙ্গামাটির বাঘাইহাট বাজার পুনরায় চালুর দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

10850835_786235878113598_1082821265_n

সাজেক প্রতিনিধি : 

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা বাঘাইছড়ি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাঘাইহাট বাজার পুনরায় চালুর দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাঘাইহাট বাজার কমিটি। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারের ৩৫০টি দোকানের দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ ব্যবসা না থাকায় ব্যবসায়ীরা মানবেতর দিনযাপন করছে। তাই এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বুধবার দুপুর ২টায় বাঘাইহাট বাজার কমিটির কার্যালয়ে বাজার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন এ হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এসময় বাঘাইহাট বাজারের সকল ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাঘাইহাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. নাজিম উদ্দিন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, “২০০৮ সালের ২০ এপ্রিল তৎকালীন তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ভূমি বিরোধের জের ধরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। এই এলাকায় তখন পাহাড়ী-বাঙ্গালী মিলে প্রায় ৩৫০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কোন প্রকার হতাহত হয়নি। আর তারই জের ধরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাঘাইহাট বাজার বন্ধ ঘোষণা করে। অর্থাৎ পাহাড়ীরা বাঘাইহাট বাজারে আসবে না। কোন প্রকার কেনাকাটা করবে না। আমরা বাজারের নিরীহ ব্যবসায়ীরা অনেক চেষ্টার পর বাজারটি পুনরায় চালু করি। এর কিছু দিন যেতে না যেতেই বাঘাইহাট- গঙ্গারাম এলাকায় আলকাছ, মজিবর, রাসেল, আমানতের মত নিরীহ বাঙ্গালীরা পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়। যার বিচার আজও আমরা পাইনি।”

বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, “১৯-২০ ফেব্রুয়ারী ২০১০ একদল পাহাড়ী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাঘাইহাট-গঙ্গারাম পুরো এলাকা অবরুদ্ধ করে ফেলে। এক পর্যায়ে তারা নিরীহ জনগণ এবং সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। তাদের গুলিতে সেনা সদস্য সার্জেন্ট রেজাউল গুরুতর আহত হলে সেনাবাহিনীর সাথে উপজাতীয়দের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে লক্ষী বিজয় এবং বুদ্ধপতি চাকমা নামের ২জন মারা যায় এবং সন্ত্রাসীরা পাহাড়ী-বাঙ্গালী মিলে প্রায় ৫ শতাধিক ঘর-বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। যা পরবর্তীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নেয়। আর সেই থেকে ৫ বছর যাবৎ বাজারটি বন্ধ রয়েছে।”

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন