রামুতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
রামুতে ক্রিকেট খেলায় দণ্ডের জেরে বন্ধুদের হামলার শিকার কলেজ ছাত্র আবু সায়েমের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের একটি ক্লিনিকে আইসিইউ’তে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সায়েমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
গত ৯ মে এলাকায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দণ্ডের জের ধরে সায়েমের বন্ধুরা তাকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মাথায় এবং শরীরে আঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছিলো।
নিহত আবু সায়েম মাহমুদ রামু উপজেরার ফতেখারকুল ইউনিয়নের পূর্ব মেরংলোয়া গ্রামের ছাবের আহমদের ছোট ছেলে। সে কক্সবাজার সরকারি কলেজের এইসএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্রের পিতা ছাবের আহমদ বাদি হয়ে রামু থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মনু নামে এক জনকে আটক করেছে।
আবু সায়েম মাহমুদের বড় ভাই ইউনুচ জানান, গত ৯ মে আবু সায়েম পাড়ার একটি মাঠে ক্রিকেট খেলছিলেন। খেলার কোনো এক বিষয় নিয়ে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের সাথে খেলা নিয়ে কথার কাটাকাটি হয়। অন্যদের মধ্যস্থতায় তাৎক্ষণিক মাঠেই ঘটনার শেষ হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে মাঠে স্থানীয় রবিউল হাসান বাবু, আবদুর রহিম, রবিউল হাসান রবিন মিলে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে সায়েমকে বেদড়ক মারধর করে।
এতে তার মাথায় ও শরীরে গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাঁচ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর রোববার সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম সিএসটিসি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কলেজ ছাত্র আবু সায়েম মাহমুদ সেনা সদস্য মাহবুব আলমের ছোট ভাই।
এদিকে সায়েমের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে রামু চৌমুহনী চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী। এদিকে আবু সায়েম মাহমুদের মুত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, হামলায় অভিযুক্তদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ দিকে গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় মেরংলোয়া রহমানিয়া মাদরাসা মাঠে নিহত কলেজ ছাত্র আবু সায়েম মাহমুদের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল মানুষের সমাগম ঘটে।