রামুতে বেড়েছে যানজট
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের রামু উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চৌমুহনী বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন রাস্তাগুলোতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ব্যস্ততা বেড়েছে চৌমুহনীর শপিং সেন্টার ও মার্কেটগুলোতে। ফলে এবারও যথারীতি যানজট শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে ব্যস্ততম চৌমুহনীর মোড়গুলোতে দিন যত যাচ্ছে, ততই অসহনীয় হয়ে উঠছে ভোগান্তির যানজট। তবে যানজট মুক্ত রাখতে এখনো ট্র্যাফিক ব্যবস্থা জোরদার করেনি স্থানীয় প্রশাসন।
জানা গেছে, কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে সিএনজি টেক্সি, মাহিন্দ্রা, ব্যাটারি চালিত টমটম, চাঁন্দের গাড়ি, কক্সলাইন ও রামুলাইন, মাইক্রোবাসসহ রিক্সার অবৈধ পার্কিং এর কারণে জানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, চাকুরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত পথচারীরা।
স্থানীয়রা জানান, রামু-মরিচ্যা সড়ক, রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক, রামু-কক্সবাজার সড়ক ও রামু-ঈদগাঁও সড়কের মূল কেন্দ্রবিন্দু চৌমুহনী বাস স্টেশন। এছাড়া পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির স্কুল, কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রামু চৌমুহনী স্টেশন হয়ে কক্সবাজার শহরে গমন করে। তাই সার্বিক বিবেচনায় চৌমুহনী স্টেশনটি ৪ উপজেলায় যোগাযোগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তারা আরো বলেন, রামু চৌমুহনী স্টেশনে যানজট নিরসনে তেমন কোন উদ্যোগ না থাকায় আসা-যাওয়ার পথে তীব্র যানজটের কারনে অতিরিক্ত সময় অপচয় হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম সেলিনা কাজী বলেন, সিএনজি, টমটম, মাইক্রো, কক্সলাইন নির্দিষ্ট স্থান থেকে ছাড়ার জন্য পরিবহন মালিকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদ মৌসুমে কোন গাড়ি অবৈধ ভাবে পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।