রোহিঙ্গাদের নতুন শুমারি শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

Cox Rohinga (3) copy

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য (আরাকান) থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেওয়াদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে একযোগে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে রোহিঙ্গা শুমারি; পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে এ শুমারি চলবে  ১০ মার্চ পর্যন্ত।

মঙ্গলবার সকাল থেকে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, উখিয়া ও টেকনাফে এ শুমারি শুরু হবে জানান জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান।

এছাড়া একই দিন থেকে চট্টগ্রামের লোহাগড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালী এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও আলীকদমেও এ শুমারি জানিয়েছেন তিনি।

ওয়াহিদুর বলেন, ২০১৬সালে ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনার পর দেশটির সেনা বাহিনী ব্যাপক অভিযান শুরু করলে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সংখ্যা নিয়ে আন্তর্জাতিকসহ বিভিন্ন সংস্থা একেক রকম পরিসংখ্যার কথা বলছে।

“ সরকার নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা প্রকৃত সংখ্যা জানতে মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে একযোগে রোহিঙ্গা শুমারীর কাজ শুরু করবে। পাশাপাশি কক্সবাজারের নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরগুলোর (উখিয়ার কুতুপালংয়ে ১ টি ও টেকনাফের নয়াপাড়ায় ১ টি) বাইরে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাসকারী অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদেরও এ শুমারিতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। শুমারী চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। তবে কাজের উপর নির্ভর করে সময় আরও ২/১ দিন বাড়ানো হতে পারে। ”

তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সীমান্তবর্তী উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার পাশাপাশি জেলার রামু, চকরিয়া ও কক্সবাজার সদরে আশ্রয় নিয়েছে বলেও নানা সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। জেলার অন্য ৩ উপজেলায় নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়ার খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই রোহিঙ্গাদের আশ্রয়প্রবণ ৫ উপজেলায় মঙ্গলবার থেকে শুমারি শুরু করা হবে।

ওয়াহিদুর জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হবে শুমারীর কাজ। শুমারির কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠিত হয়েছে। জেলা কমিটিতে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা কমিটিতে স্থানীয় ইউএনওদের কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে শুমারিতে অংশ নেওয়া প্রতি দলে ২ জন করে ১৭০ টি দল কাজ করবে।

তবে মাঠ পর্যায়ে শুমারির কাজ শেষে কখন চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত বছর মার্চ মাসে মাসব্যাপী কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)’র সহযোগিতায় আরও একটি শুমারি করা হয়েছিল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন