লটারিতে পানছড়ির এক ঘরের তিন ভাগ্যবান
নিজস্ব প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিতব্য বিজয় ও পৌষ মেলায় পানছড়ি উপজেলার একই পরিবারের তিনজন জিতেছে প্রথম পুরষ্কার। এ কৃতিত্বের অধিকারীরা উপজেলার পাইলট ফার্ম গ্রামের মো. বজল আহাম্মদের দুই ছেলে কামরুল হাসান, পারভেজ আহম্মেদ ও জামাতা সাইফুল ইসলাম।
জানা যায়, বিজয় মেলার প্রথম দিনে হাউজিতে বাম্পার পঞ্চাশ হাজার টাকা পায় জামাতা সাইফুল। বিজয় মেলার দ্বিতীয় দিনে লটারীতে প্রথম পুরষ্কার মোটর সাইকেল পায় বড় ভাই কামরুল হাসান ও পৌষ মেলার লটারীতে প্রথম পুরষ্কার একটি ব্যাটারী চালিত টমটম জিতে পারভেজ আহম্মেদ। এ নিয়ে পানছড়ির বিভিন্ন এলাকা ও দোকানপাটে তিন ভাগ্যবান ভাইকে নিয়ে চলছে মুখরোচক গল্প। তাছাড়া তাদের পিতা বজল আহাম্মদের কপালের সাথে অনেককে কপাল ঘষঁতেও দেখা গেছে।
বজল আহাম্মদের ছোট ছেলে খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের অর্নাসে পড়ুয়া পারভেজ জানায়, টাকা ভাংতি ছিলোনা তাই লটারি ক্রয় করব কিনা দ্বিধাদ্বন্দে ছিলাম। অবশেষে টাকা ভাংতি করে একটি মাত্র লটারি ক্রয় করে বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়ি। রাতে আমার বন্ধু জাহিদ মোবাইল ফোনে জানায় আমি প্রথম পুরষ্কার পেয়েছি। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে মেলা পরিচালনা কমিটি থেকে ফোন পেয়ে অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে পুরষ্কার গ্রহণ করি। জীবনে এ প্রথম লটারীতে পুরষ্কার পেয়ে সে খুশীতে আত্মহারা বলেও জানায়।
বড় ভাই কামরুল জানায়, লটারী ক্রয় করে নামের জায়গায় লিখেছিলাম নামাজ কায়েম কর। পরে মাইকে ঘোষণা দেয় প্রথম পুরষ্কারপ্রাপ্ত লটারীর অপর পিঠে লিখা আছে নামাজ কায়েম কর। তখন আমি খুশীতে আত্মহারা হয়ে পড়ি। এদিকে ভাগ্যবান তিন ভাইকে পানছড়ি বাজার ও তার আশ-পাশ এলাকায় দেখা মাত্রই হাতে হাত মেলাতে ছুটে আসছে উৎসুক জনতা।