শঙ্কা কাটিয়ে শেষ আটে রিয়াল মাদ্রিদ
আরবি লাইপজিগকে ১-০ গোলে হারিয়ে জার্মানি থেকে ফিরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেও জার্মান ক্লাবের সঙ্গে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। লাইপজিগ একাধিক সুযোগ নষ্ট না করলে কার্লো আনচেলত্তির দলকে খারাপ কিছু দেখতে হতো। শেষ পর্যন্ত শঙ্কা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ১-১ গোলের ড্র করেছে রিয়াল ও লাইপজিগ। দুই লেগে ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
লাইপজিগ তুলনামূলকভাবে এগিয়ে ছিল। একাধিক সুবর্ণ সুযোগ তারা নষ্ট করে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল তাদের আক্রমণের ধার বাড়ায়। তার ফল পেয়ে যায় এক ঘণ্টার কিছুক্ষণ পর।
জুড বেলিংহ্যামের পাস থেকে ৬৫তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে লিড নেয় রিয়াল। কিন্তু তিন মিনিট পর লাইপজিগ তাদের অধিনায়ক উইলি ওরবানের হেড গোলে সমতায় ফেরে।
ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় অ্যাওয়ে গোলের মূল্য নেই। তবে প্রথম গোল জার্মান ক্লাবকে ভালোভাবে উজ্জীবিত করেছিল। আরেকটি গোল করতে পারলে লাইপজিগ ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে নিতে পারতো। সেই উদ্দেশ্যে বাকি সময় তারা খেলেছে। সুযোগও পেয়েছিল গোলের। যোগ করা সময়ে দানি ওলমোর একটি শট তো ক্রসবারে লাগলো।
তারও আগে ওরবান দুইবার গোলবারের পাশ দিয়ে বল মারেন।
রিয়াল গোলকিপার আন্দ্রি লুনিনকেও কৃতিত্ব দেওয়া যায়। প্রথম লেগে একাধিক সেভে দলকে বাঁচান তিনি। ঘরের মাঠেও লাইপজিগের তিনটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।
এনিয়ে গত ১৪ বছরে ১২তম কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো রিয়াল। এই সময়ে তারা পাঁচটি শিরোপা জিতেছে। এবার ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জয়ের পথে আরেকটি ধাপ এগিয়ে গেলো মাদ্রিদ ক্লাব। আগামী ১৫ মার্চ হবে কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র।
এরই মধ্যে পিএসজি, ম্যানচেস্টার সিটি ও বায়ার্ন মিউনিখ শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করেছে। বাকি দলগুলো চূড়ান্ত হবে আগামী সপ্তাহের খেলা শেষে।