শীত ও বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটির জনজীবন স্থবির

fec-image

পর্যটন খ্যাত রূপের নগরী পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে দু’দিনের বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় নাকাল রাঙামাটিবাসী।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে আকাশ মেঘলা রয়েছে। সূর্যের দেখা মিলেনি সারাদিনও। জনজীবনও স্থবির হয়ে পড়েছে। পৌষের বৃষ্টিতে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু তা চহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, গত দু’দিনের বৃষ্টি এবং ঠান্ডায় ব্যবসা করা হয়নি। হাত গুটিয়ে বসে আছি।

এদিকে গত দু’দিনের বৃষ্টি এবং শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটির হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে তা শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা: শহীদ তালুকদার বলেন, ঠান্ডা বাড়লে শিশুরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শিশুর মায়েরা সতর্ক থেকে শিশুর যত্ন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে ভয়ের কিছু নেই।

রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার রাত থেকে রাঙামাটিতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন বলেন,  রাঙামাটিতে ৫ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। শুক্রবার রাঙামাটিতে তাপমাত্রা ছিলো ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শনিবার তা কমে ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রয়েছে।

রাঙামাটিতে আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ২১ ডিগ্রী এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস রয়েছে।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের এ কর্মকর্তা আরও জানান, রাঙামাটি শহরে শীতের তীব্রতা বুঝা না গেলেও গ্রামে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটন, রাঙামাটি, শীতজনিত রোগ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন