পর্যটন নগর ঘুরে দেখতে কক্সবাজারের চালু হচ্ছে ছাদখোলা বাস

fec-image

উন্নত দেশের মতো এবার পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও ছাদখোলা বাসে ঘুরতে পারবেন পর্যটকরা। এর জন্য দুটি ট্যুরিস্ট বাস এনেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এই দুটি বাস চলবে কক্সবাজারের পর্যটন জোন থেকে দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভে। এই ট্যুরিস্ট বাস দুটি আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারকে বলা হয় পর্যটন রাজধানী। তাই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারকে আকর্ষণীয় করতে প্রশাসন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাই এবার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করতে নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বাসের।

আজ সকালে লাল-সবুজ রঙের দুটি ছাদখোলা বাস জেলা প্রশাসনের তথ্য কেন্দ্রের সামনে এসে দাঁড়ায়। বাস দুটির গায়ে বিআরটিসি লেখা রয়েছে এবং একটি বাসে কক্সবাজারের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোর স্টিকার লাগানোর পাশাপাশি ট্যুরিস্ট বাস লেখা রয়েছে। বাস দুটি দাঁড়ানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে অন্তত ১০ জনের বেশি মানুষ বাস থেকে নামে। তাদের গলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের কার্ড ঝোলানো রয়েছে।

এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছে বলে জবাব দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, ছাদখোলা বাস দুটি এখন থেকে কক্সবাজার চলাচল করবে। যার জন্য এই বাসগুলো এখানে আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন দুটি ছাদখোলা ট্যুরিস্ট বাস লিজ নিয়েছে। এখন থেকে এই ট্যুরিস্ট বাসগুলো কক্সবাজারে চলাচল করবে। বাস দুটি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন পরিচালনা করবে।

তিনি বলেন, দুটি বাসের মধ্যে একটি কক্সবাজার সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট থেকে পর্যটকদের নিয়ে রেজুখাল ব্রিজ পর্যন্ত যাবে। এরপর তাদের তুলে দেওয়া হবে ব্রিজের অপরপ্রান্তে অবস্থান করা ট্যুরিস্ট বাসে। এই বাস মেরিন ড্রাইভের পাতুয়ারটেক পর্যন্ত চলাচল করবে। দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভে যেসব পর্যটন স্পট রয়েছে সেখানে থামবে এবং পর্যটকদের তা ঘুরে দেখানো হবে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, প্রতিটি বাসে ৫৫ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বাসগুলোতে থাকছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। আশা করি, পর্যটকদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে এই ট্যুরিস্ট বাস।

তবে, ভাড়া কত বা কখন থেকে চালু হবে এটি উদ্বোধনের পর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, ছাদখোলা বাস, পর্যটন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন