সংরক্ষিত পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ার টইটংয়ের জুমপাড়ার গভীর অরণ্যে বনবিভাগের সংরক্ষিত বনভূমি পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট। বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুঁইছড়ি বিট অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এ বালু উত্তোলন অভিযোগ উঠেছে । একাধিক পাহাড় নিধন করলেও চোখে পড়ে না বিট কর্মকর্তার।

আর ওই বালু বিক্রি করে তিন ভাগের একাংশ চলে যায় সংশ্লিষ্ট গুটিকয়েক অসাধু কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী কিছু ভূমি দস্যুদের পকেটে । অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর কাছ থেকে অবৈধভাবে গাড়ি প্রতি ৪শ টাকা করে নেয় ইজারাদার জসিম ও বালু খেকো ওসমান সওদাগর এবং সিন্ডিকেট সদস্যরা। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টইটং ইউনিয়নের জুমপাড়া, নাটানার জিরি, লামার ঢুল্লাইল্যার জিরি, পাগলির ছড়া,গলাছিড়া, হাতির ঢেঁড়া, বাধিগাছের টেক, আবদুল্লার জিরির মুখ, জুঘলা, আট আনার জিরি, মগভিটা, মিজ্জি বাগান এসব এলাকায় ১৫ থেকে ২০টিরও বেশি বালু মহল রয়েছে। এসব অবৈধ বালুর পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন বালু খেকোরা গাড়ি গাড়ি করে বালু সরবরাহ করছে।

আর এসব অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত প্রভাবশালী বালু খেকো ওসমান সওদাগরের নেতৃত্বে সরকারি এই বনভূমিতে চলে সেই সিন্ডিকেটের রাজত্ব। পাহাড়ের মাঠি, বালু, গাছ ইত্যাদি ধ্বংস করে পাচার করে দিচ্ছে এ সিন্ডিকেট।

অভিযোগের বিষয়ে ওসমান সওদাগরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ১১ জন ইজারাদার মহলের টাকা নিই। আমার একার কিছু নাই।

এ অভিযোগের বিষয়ে ইজারাদার জসিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইজারাদার টোল আদায় করেন বলে জানান।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পুইঁছড়ি বিট কর্মকর্তা ফখরুল ইসলামের কাছে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি জড়িত ন। আগামী রবিবার অভিযান করবেন। এক সপ্তাহ আগে ঘোষণা দিয়ে অভিযান করলে বালু থাকবে কিনা জানতে চাইলে কোন কথা না বলে সংযোগ কেটে দেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পাহাড়, বালু, রাজস্ব
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন