সংশোধিত জেলা পরিষদ আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচী- বাঙালী ছাত্র পরিষদ

পিবিসিপি

নিজস্ব প্রতিনিধি:

জনসংখ্যার অনুপাতে বৈষম্যহীন ও গ্রহণযোগ্যতা ভিত্তিক পার্বত্য জেলা পরিষদ বিলসমূহ সংশোধনের আহবান জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালী সংগঠন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা। বৃহস্পতিবার পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি সাহাজল ইসলাম সজল ও সাধারন সম্পাদক এস.এম মাসুম রানা স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহবান জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ, গত ১৭ নভেম্বর (সোমবার) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহ পুনর্গঠন বিল বৈষম্যমূলক, একতরফা আখ্যা দিয়ে এর সংশোধনী বিলসমূহ জাতীয় সংসদে পাশ করা হলে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ উপজাতিদের রামরাজত্বে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা জানান,  সংশোধিত আ্ইনে পরিষদসমূহে কোটি কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডসহ সর্বক্ষেত্রে বাঙ্গালীরা চরমভাবে বঞ্চিত হবে। খাগড়াছড়ি জেলায় মোট জনগোষ্ঠির ৫২% উপজাতি ও ৪৮% বাঙ্গালী। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৯জন, এবং ০১জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মনোনীত মহিলা সদস্য ও চেয়ারম্যানসহ মোট ১১জনই উপজাতি। অপরদিকে, বাঙ্গালী সদস্য ৪ জনের প্রস্তাব করা হয়েছে যা চরম বৈষম্যমূলক।

তাই অবিলম্বে এ ধরনের বৈষম্যমূলক বিল প্রত্যাহারপূর্বক নতুনভাবে সংশোধনী এনে জনসংখ্যার অনুপাতে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে ৭জন সদস্য রাখার আহবান জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া দাবী বাস্তবায়নে শনিবার সকাল ১১টায় জেলা শহরের শাপলা চত্বরে বৃহত্তর মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করাসহ সরকার আশানুরূপ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ তথা দাবী বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ না নিলে পরবর্তীতে সড়ক অবরোধ, হরতালসহ কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়ার হুশিয়ারী দেয় সংগঠনটি।

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর (সোমবার) ‘‘রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১৪’’ ‘‘বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১৪’’ ও ‘‘খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০১৪’’ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সংসদে উত্থাপনে সুপারিশ করেছেন।
সংশোধনী বিলে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে ১৪ সদস্যের পরিষদে পরিষদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি থেকে চেয়ারম্যান ছাড়া বাকি ১৩ সদস্যের মধ্যে, চাকমা-০৩জন, মারমা-০৩জন, ত্রিপুরা-০৩জন ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির বাইরে থেকে-০৩জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বাইরে-০১জন মনোনীত মহিলা সদস্য এবং ০১জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মনোনীত মহিলা সদস্য রাখার বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন