সন্ত্রাস অব্যাহত থাকলে জেএসএস আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে- দীপঙ্কর তালুকদার
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সন্তু লারমার মিথ্যাচার মোটেও সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপবাদ দিলে তার পরিণতি ভাল হবে না।
তিনি বলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, শান্তি চুক্তির ৮০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে অথচ চুক্তির অধিকাংশ বাস্তবায়নের প্রধানমন্ত্রীর দাবিকে সত্য নয় বলে সন্তু লারমা বক্তব্য দিয়েছেন, যা খুবই আপত্তিকর। এটি নিয়ে আবার জল ঘোলা করে প্রধানমন্ত্রীর উপর দোষ চাপানো হচ্ছে যা মোটেও সহ্য করা হবে না ।
আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপঙ্কর তালুকদার এ কথা বলেন।
দীপঙ্কর তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের বন্ধু। আওয়ামী লীগকে যারা ভালোবাসে তারা কেউ কখনোই দল ত্যাগ করে চলে যায় না। জেএসএস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সেদিন আর বেশি দূরে নয় এই সন্ত্রাস অব্যাহত রাখলে জেএসএস ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে তা নিশ্চিত। তাই জেএসএস থেকে দলে দলে নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, অপর পক্ষে তীব্র হুমকী ও চাপ সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কোন নেতা-কর্মী অন্য কোন দলে যোগ দেয়নি।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, পিসিপির কাউন্সিলে সন্তু লারমা মিথ্যাচার করেছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আমি ও বান্দরবানের বীর বাহাদুর বিরোধিতা করছি না। পার্বত্য শান্তি চুক্তি নিয়ে বিরোধিতা করছে জেএসএস ও আঞ্চলিক সংগঠনসমূহ। তাদের অস্ত্র ও চাঁদাবাজির কারণে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি সন্তু লারমার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, অস্ত্র ছেড়ে আমাদের মতো সাধারণ জীবনে আসুন, দেখবেন আপনার অবস্থা কী হয়। তখন দেখা যাবে কার জনপ্রিয়তা কতটুকু।
সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তিরা আগে ভয় পেলেও এখন প্রতিবাদ করতে শিখেছে। এখন ভুক্তভোগীরা ভয় ত্যাগ করে মামলা করছেন। আগামী কিছু দিন পর পালানোর সময় পাবেন না। জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে আপনাদের অস্ত্রের জোর কোথায় যাবে সেটা ভেবে দেখুন।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রাঙ্গামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রফকুল মাওলা, বন ও পরিবেশ সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মনসুর আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মুহাম্মদ বাপ্পা, পৌরসভার নব নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর রূপসী দাশ গুপ্তা ও জোবাইয়া খাতুন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষ হলে পরে কেক কেটে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।