সহিংসতা নিয়ে আসিয়ানের বিবৃতি মিয়ানমার জান্তার প্রত্যাখ্যান

fec-image

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সহিংসতা এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুকে একতরফা হিসেবে প্রত্যাখ্যান করে আসিয়ানের একটি বিবৃতির কড়া সমালোচনা করেছে। এর এক দিন পর মিয়ানমার বিবৃতিতে বলেছে, তারা আসিয়ানের আসন্ন সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে না।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার ভয়াবহ অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে যা গণবিক্ষোভ এবং রক্তক্ষয়ী সামরিক দমন-পীড়নের জন্ম দিয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) মিয়ানমার সঙ্কট নিরসনের জন্য নিষ্ফল প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছে। আসিয়ান একটি পাঁচ-দফা শান্তি পরিকল্পনার সাথে সম্মত হয়েছে যে- জেনারেলরা ধ্বংসোন্মুখ এবং জান্তা তার বিরোধীদের সাথে যোগ দিতে অস্বীকার করেছে।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টম্বর) এক শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ান নেতারা সামরিক বাহিনীকে ‘সহিংসতা কমাতে এবং বেসামরিকদের উপর হামলা বন্ধ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

আয়োজক ইন্দোনেশিয়া বলেছে যে- পরিকল্পনায় ‘কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়নি। মিয়ানমার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে’ বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পর্যালোচনাটিকে ‘বস্তুগত নয়’ এবং ‘একতরফা’ বলে সমালোচনা করেছে।

এটি আসিয়ানকে ‘আসিয়ান সনদের বিধান এবং মৌলিক নীতিগুলি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে বিশেষ করে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।’

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন মিয়ানমার ২০২৬ সালে আসিয়ানের নির্ধারিত সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে না।

পরিবর্তে ফিলিপাইন সভাপতিত্ব করবে, কারণ যেহেতু ব্লকটি জান্তার সাথে কিভাবে জড়িত থাকবে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। জান্তার মুখপাত্র ঝ মিন তুন বিস্তারিত না জানিয়ে এএফপি’কে নিশ্চিত করেছেন যে- মিয়ানমার ২০২৬ সালে চেয়ারম্যান হবে না।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তির সম্ভাব্য বয়কটের কারণে ২০০৬ সালে মিয়ানমার পূর্বে আসিয়ানের সভাপতিত্ব থেকে প্রত্যাহার করেছিল। ওই বছরই চেয়ার চলে যায় ফিলিপাইনে।

সূত্র : বাসস

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন