সাত বছরেও নির্মাণ হয়নি রাজবাড়ীর ঝুলন্ত ব্রিজ, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

Mohamoni

মো. ইমরান হোসেনঃ
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে মং রাজবাড়ী সংলগ্ন মহামুনি-মানিকছড়ি বাজার-বাটনাতলী সড়কের রাজবাড়ী খালে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঝুলন্ত ব্রিজটি ৬ মাস যেতে না যেতেই বর্ষার স্রোতে সর্ম্পূণ ভেসে যাওয়ার ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন করে নির্মিত হয়নি এই ঝুলন্ত ব্রিজটি।

মহামুনি খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে উক্ত খালের উপর দিয়ে উপচে পড়ে পাহাড়ী ঢল। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষ এ খালের উপর দিয়ে চলাচল করে থাকে।

ঝুলন্ত ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। ফলে এ সড়কে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে এখানকার জনসাধারণ। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার বুক চিড়ে প্রবাহিত মানিকছড়ি খালটি র্দীঘ ১৫ কি.মি. এলাকা অতিক্রমকালে খালের দু‘পাড়ের মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে। র্দীঘ খালের অন্তত ৯-১০ টি সেতু নির্মাণ হলে কৃষকদের ভোগান্তি নিরসন হবে বলে জানিয়েছেন এখানকার জনসাধারণ। কারণ খালের পশ্চিম পাড়ের ৩০/৪০হাজার কৃষক প্রতিনিয়ত মূল সড়কে আসতে ১৫/২০ কি.মি. রাস্তা ঘুরে উৎপাদিত ফসল বাজারে আনতে হয়।

প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীর বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ খালের উপর দিয়ে চলাচল করছে। উপজেলা সদরের মংরাজ বাড়ী সংলগ্ন এ খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবী বহুকালের হলেও ২০০৭-২০০৮ সালে পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্ন্য়ন র্বোড ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝুলন্ত ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ঠিকাদার কাজটি শেষ করে । ফলে প্রথম বর্ষায় স্রোতেই সম্পূর্ণ ব্রিজটি পিলার সহ ভেসে যায়। উপজেলার রাজবাজার খ্যাত মানিকছড়ি বাজারের শতশত ব্যবসায়ী ও জনগণ ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জোর দাবী জানিয়ে আসলেও আদৌ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন আশার বাণী শোনায়নি। ফলে সড়কে চলাচলরত বাজারে ব্যবসায়ীরা ৩ কি.মি. ঘুরে আমতলা হয়ে মহামনি বাস স্টেশনে যাতায়াত করছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্যা মারমা ব্রিজটির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে কতৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন