বান্দরবানের ১৪ কেন্দ্রে ব্যবহৃত হতে পারে হেলিকপ্টার

বান্দরবান প্রতিনিধি:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান ৩০০ নম্বর আসনের ১৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হতে পারে। কেন্দ্রগুলো দুর্গম এলাকায় হওয়ায় সেখানে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও জনবল পৌঁছাতে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিসার রেজাউল করিম জানান, ৭টি উপজেলা, ২টি পৌরসভা ও ৩৩টি ইউনিয়ন নিয়ে বান্দরবান ৩০০ নম্বর সংসদীয় আসন। এ আসনে মোট ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৮৩ জন ভোটার রয়েছে। জেলার ১৭৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে এর মধ্যে ১৪টি কেন্দ্র দুর্গম এলাকায়। কেন্দ্রগুলো হলো রুমা উপজেলায় ৩টি, থানচি উপজেলায় ৬টি, আলিকদমে ৩টি এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২টি। এ কেন্দ্রগুলোয়ই হ্যালিকপ্টার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বান্দরবান ৩০০নং সংসদীয় আসনে মোট ৯ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১ জন বিএনপির ৩ জন, ইসলামী আন্দোলনের ১ জন, ইসলামী ঐক্যজোটের ১ জন ও স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী রয়েছেন। যারা মনোনয়ন জমা দিলেন তারা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাচিং প্রু জেরী, জেলা বিএনপির সভাপতি মাম্যাচিং, মহিলা দলের নেত্রী উম্মে কুলসুম সুলতানা লীনা, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. বাবুল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুফতি শওকতুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লক্ষি পদ দাস, সার্ক মানবাধিকার সংগঠনের জেলা সভানেত্রী ডনাই প্রু নেলী ও কুকি চীন ন্যাশনাল ডেভোলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এর সাবেক সভাপতি ও বম সম্প্রদায়ের নেতা নাথান বম।

বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের সমর্থিত নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলামের কাছে তাদের মনোনয়ন পত্রগুলো জমা দেন। বিএনপির সাচিং প্রু জেরীকে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করলেও মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিনে হঠাৎ করেই জেলা বিএনপির সভাপতি মাম্যাচিং মনোনয়ন জমা দেয়ায় বিএনপির জেরী সমর্থিত নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। মাম্যাচিংকে দলীয় ভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে মাম্যাচিং বলেন, দলীয় নির্দেশেই মনোনয়ন জমা দেয়া হয়েছে। দল যদি মনে করে নির্বাচন করার তবে আমি প্রস্তুত রয়েছি। যদি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয় তবে সে ক্ষেত্রে আমরা ঐ প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করব। এখানে ভুলবুঝাবুঝি বা উত্তেজনার কিছু নেই।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ থেকে বীর বাহাদুরকে মনোনয়ন দেয়া হলেও কৌশলগত কারণে দলের যুগ্ম সম্পাদক লক্ষি পদ দাশ শেষ সময়ে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে বীর বাহাদুর সাংবাদিকদের বলেন বান্দরবানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, যোগাযোগ, আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন সেক্টরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যে অসমাপ্ত কাজগুলো রয়েছে পুনরায় নির্বাচিত হলে এসব কাজ সমাপ্ত করে এলাকার উন্নয়নের গতিধারাকে আরও তরান্বিত করার অঙ্গিকার করেন বীর বাহাদুর।

অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী সাচিং প্রু জেরী বলেন নির্বাচিত হলে বান্দরবানের যে সাম্প্রদায়িক ঐক্য সম্প্রীতি রয়েছে তা বজায় রেখে উন্নয়ন করা হবে। সেই সাথে দলের চেয়ারপারসনকে মুক্ত করার জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার এই সংগ্রাম।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন