টেকনাফে ৬০ হাজার ইয়াবাসহ আটক ১, বসে নেই ইয়াবা সিন্ডিকেট
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ঝিমংখালী পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে পাচারের সময় ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মোঃ হেলাল উদ্দিন নামে এক পাচারকারী আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝিমংখালী ৫ নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিমংখালী বিওপির বিশেষ একটি টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করে নকুল মেম্বারের চিংড়ি ঘেরের বাধেঁর পার্শ্বে গোপনে অবস্থান নেয়।
কিছুক্ষণ পর টহলদল ৩ জনকে বক্তিকে অন্ধকারের মধ্যে নাফনদী ঝিমংখালী ৫ নং স্লুইচ গেইট এলাকার ৪০০ মিটার উত্তর দিক দিয়ে বেড়িবাধেঁর উপরে উঠতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবির উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই উল্লেখিত ব্যক্তিরা দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। তখন পালিয়ে যাওয়ার সময় টহলদল ধাওয়া করে ১টি ইয়াবার বস্তাসহ উপজেলার হোয়াইক্যং খারাংখালী পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার জালাল আহমদের ছেলে হেলাল উদ্দিনকে (২৬) আটক করতে সক্ষম হয়।
এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত ইয়াবাসহ আটক মাদক কারবারীকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উক্ত পয়েন্টে বেশ কয়েকটি চিংড়ি ঘের রয়েছে। সংঘবদ্ধ মাদক কারবারীরা প্রচুর পরিমাণ মাদকের চালান এনে বিক্রি ও সরবরাহ করতে না পেরে মাটিতে পুঁতে রেখেছে বলে জানা গেছে। হেলাল, রফিক, রফিকের ভাই ওরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ইয়াবা আনতে যায় নাফনদীতে।
এদিকে মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে ফেরারী ও বিদেশ পালিয়ে থাকা পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার জালাল আহমদ প্রকাশ বাইলার ছেলে জামাল প্রকাশ পুতিয়া, সহোদর ভাই সরুয়ার কামাল, একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে শাহ আলম,মোঃ শফির ছেলে জলাল উদ্দিন (বর্তমান কক্সবাজারে অবস্থান), কালাচানের ছেলে রফিক, মুহাম্মদ আলির ছেলে শামশুল আলম, বাঁচা মিয়ার ছেলে আমির হোছন, সোলতান আহমদের ছেলে রফিকুল আলম, নজির আহমদের ছেলে জালাল উদ্দিন, জহির আহমদের ছেলে আব্দু রহিম মেজর, গোলাম হোছনের ছেলে ছৈয়দ আলম পুতিক্কা, আবুল মঞ্জুরের ছেলে মোঃ রাশেদ, মঞ্জুর, খোকন, ইউনুছ, সরওয়ারসহ এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা এলাকায় ফিরে এসে পুরোদমে ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।