মাটিরাঙ্গায় অপহৃত চার শ্রমিককে উদ্ধারে নিষ্ফল সেনা অভিযান
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার ব্যাঙমারায় নির্মাণাধীন সেতুতে কর্মরত অবস্থায় অপহৃত চার বাঙ্গালী শ্রমিককে উদ্ধারে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা এক নিষ্ফল অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জেলার মহালছড়ি‘র ত্রিপুরা অধ্যুষিত যৌথ খামার ও মুড়াপাড়ায় এ নিষ্ফল অভিযান চালায় সেনা সদস্যরা। শনিবার ভোর পৌনে ৪টা থেকে সকাল সোয়া ৭টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয় বলে সেনা সুত্র নিশ্চিত করেছে।
সেনাবাহিনীর মহালছড়ি অঞ্চলের উপ-অধিনায়ক মেজর আতিক চৌধুরী অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপহৃত চার বাঙ্গালী শ্রমিককে উদ্ধারে এই অভিযান পরিচালিত হয়। খাগড়াছড়ি ও গুইমারা অঞ্চলের শতাধিক সেনা সদস্য এ অভিযানে অংশ নেয়। নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, অপহরণকারীদের চিহ্নিত করা গেছে। আমাদের অভিযান বন্ধ হয়নি। অপহৃতদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরো কঠোর হবে।’
জাইকা সেতু প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মিন্টু চৌধুরী জানান, অপহরণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস (এমএনলারমা) গ্রুপের সদস্য। সন্ত্রাসীরা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। সন্ত্রাসীদের দাবি অনুযায়ী গত ৫ জুলাই জেএসএস (এমএনলারমা) নেতা বিশাল চাকমাকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দেওয়া হয়। অবশিষ্ট ৫০ হাজার টাকা ২০ জুলাই পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু দেড় লাখ টাকা দেওয়ার একদিন পরই ৬ জুলাই রাতে ওই চার বাঙ্গালী শ্রমিককে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের মাটিরাঙ্গার ব্যাঙমারা এলাকায় নির্মাণাধীন সেতু উন্নয়ন প্রকল্পের বুলডোজারচালক রাজু আহমেদ, বুলডোজারের হেলপার হাসান মিয়া, মো. ফারুক মিয়া ও লিয়াকত আলী নামের চার শ্রমিককে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। অপহৃত শ্রমিকরা হলেন- বুলডোজার চালক রাজু আহমেদ, বুলডোজারের হেলপার হাসান মিয়া, মো. ফারুক মিয়া ও লিয়াকত আলী।
প্রসঙ্গত, ইস্টার্নব্রীজ ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় সরকারি অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ব্যাঙমারা ব্রিজটি নির্মাণ কাজ করছে। গেল বছর ৬ সেপ্টেম্বর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্মানাধীন এ সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।