উখিয়ার পালংখালীতে ৪ বাড়ি লকডাউন: ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউনিয়নে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন সম্প্রতি নিজ এলাকায় ফিরেছে এমন ৪ টি বাড়ি লকডাউন ও ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে ওই ইউনিয়ন পরিষদ কতৃপক্ষ।
কোয়ারান্টাইন ঘোষণা করা প্রতিটি বাড়ির জন্য পরিষদের পক্ষ হতে শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) ১ বস্তা করে চাউল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যকে তার বাড়িতে প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার পৌঁছে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
জানা যায়, প্রথম ব্যক্তি পালংখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে রহমতেরবিল গ্রামের তৈয়ম গোলালের ছেলে গুরা মিয়া বিগত ১বছর যাবৎ লাঞ্চে পানি জমার কারণে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) স্বপরিবারে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছালে পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আগামী ১৪ দিনের জন্য পুরো পরিবারকে কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা হয়।
অন্যদিকে দ্বিতীয় ব্যক্তি ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চুরাখোলা গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আলজামিয়াতুল ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আফজল হুসাইনকে অদ্য তারিখ হতে আগামী ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা হয়। জানা যায় সে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাবলীগ ফেরত।
তৃতীয় ব্যক্তি ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পালংখালী গ্রামের নুর আলমের ছেলে ফিরোজ কামাল রামু থেকে এসেছে বলে খবর পাওয়া যায়। তাকেও আগামী ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা হয়।
চতুর্থ ব্যক্তি হলেন পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী পানবাজার (পানবাজার মসজিদ সংলগ্ন) ১ নং ওয়ার্ডের নুরুল আলমের ছেলে। সম্প্রতি সাগরপথে ফেরৎ আসা বাংলাদেশী নাগরিক মিজানুর রহমান(২৪)কে তার নিজ বাড়িতে আগামী ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা হয়।
সেই সাথে লকডাউন ও কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা ৪ বাড়িতে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয় ও কোয়ারান্টাইন স্টিকার লাগানো হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা।
ইতোমধ্যে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রথম ব্যাক্তির বাড়িতে ১ বস্তা চাউল পাঠানো হয় ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদেরকে তার বাড়িতে প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার পাঠানোর জন্য পরিষদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।
তৃতীয় ব্যাক্তির বাড়িতে পরিষদের পক্ষথেকে শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) ১ বস্তা চাউল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদেরকে প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার পাঠানোর জন্য পরিষদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদেরকে হোম কোয়ারাইন্টাইন যথাযথভাবে পালন করা এবং আশেপাশের লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।