বান্দরবানে বাড়ছে আক্রান্তের হার ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ধুম্রজাল

image_39663

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ধুম্রজাল দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে গত কয়েকদিনে ম্যালেরিয়ায় মারাগেছে শিশু’সহ ৬ জন। তবে জনপ্রতিনিধি’সহ স্থানীয়দের দাবী ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্তের সংখ্যা চার’শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। থানছি স্বাস্থ্য কমপে্লক্স’সহ উপজেলা হাসপাতাল’গুলোতে বাড়ছে প্রতিদিনই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদিকে থানছিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চারটি মেডিক্যাল পাঠানো হয়েছে। তবে ম্যালেরিয়ার ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মংতেঝ।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, থানছি উপজেলার দূর্গম জিন্না পাড়া, রায়বাহাদুর পাড়া, অংসাং খেয়াং পাড়া, থুইছা খেয়াং পাড়া, সত্যমনি ত্রিপুরা পাড়া, চিংথুই হেডম্যান পাড়া’সহ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে এবং আলীকদম, রুমা ও বান্দরবান উপজেলা ডলুপাড়া’সহ কয়েকটি পাড়ায় মালেরিয়ার প্রদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার থেকে কয়েকদিনে শিশুসহ প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দাবী ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যরা ম্যালেরিয়ায় মারাগেছে কিনা, বিষয়টি পরীক্ষা না করায় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহরা হলেন- চহ্লাপ্রু মারমা (৯), উথোয়াইচিং (৫), বীরেন ত্রিপুরা (৮), জ্যোতিময় ত্রিপুরা (১২), জগৎজ্যোতি ত্রিপুরা (১২), ক্রইসাংপ্রু মারমা (৯)। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি। থানছি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা জানান, দূর্গমাঞ্চলগুলোতে ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কয়েকদিনে ম্যালেরিয়ায় শুধুমাত্র থানছিতে মারাগেছে শিশুসহ সাত জন। আরো প্রায় তিন শতাধিক লোকজন আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলায় দ্রুত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মংতেঝ জানান, ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিনে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে থানছিতে ৪জন, আলীকদম ও রুমায় ২জন। অন্যরা ম্যালেরিয়ায় মারাগেছে কিনা, বিষয়টি পরীক্ষা না করায় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রনে স্বাস্থ্য বিভাগের দুজন চিকিৎসক’সহ চারটি মেডিক্যাল টিম একটি এ্যাম্বুলেন্স’সহ ঘটনাস্থল থানছিতে পাঠানো হয়েছে। তারা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের মওজুদ ওষুদ শেষ হয়েছে। ম্যালেরিয়ার ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বাজার থেকে ওষুধ কেনার অর্থ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা কঠিন হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন