রোয়াংছড়িতে গৃহবধুকে উপজাতি যুবকের ধর্ষণের চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানের রোয়ংছড়িতে এক উপজাতি যুবক শাহীন আক্তার (২০) নামে গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আতংকিত পরিবারটি রোয়াংছড়িতে জনপ্রতিনিধি কোন বিচার না পেয়ে জেলা সদরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে বিচারের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জানা যায়, গত ১৩ জুন সোমবার মনছুর আলমের গৃহবধু শাহীন আক্তার সকাল ১১টার দিকে বাসায় একা ছিলেন। বাসায় ঢুকে ঘিলা তঞ্চঙ্গ্যার পুত্র কাজল তঞ্চঙ্গ্যা শাহীন আক্তারকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণ করতে না পেরে তার গলায় ও হাতের সোনার জিনিসপত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। শাহীন আক্তারের চিৎকারে পাশের বাড়ীওয়ালা হোসেন আহম্মদ দৌড়ে আসলে কাজল তঞ্চঙ্গ্যা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি রোয়াংছড়ি থানার ৩০০ গজের মধ্য ঘটে।
মনছুর আলম জানান, সে পাশের একটি হোটেলে কাজ করেন। তার বধুকে এক পেয়ে কাজল তঞ্চঙ্গ্যা ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান চহ্লা মং মারমাকে বিচার দিই। চেয়ারম্যান কাজলকে দোষী সাবস্ত করে কয়েকটি চড় মেরে বিচার শেষ করে। বিচার শেষে কাজল তঞ্চঙ্গ্যা শাহীন আক্তারকে ধর্ষণের চেষ্টা কালে তার কাপড় চোপড় ছিঁড়ে যাওয়ায় তাকে একজোড়া কাপড় কেনার টাকা দেন।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন, যদি কোন বাঙ্গালী পাহাড়ী মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তখন তাকে প্রকাশ্য মারধর করে, মামলা করে, মিছিল, হরতাল করে, এমনকি তাকে জেল হাজতে যেতে হয়। কিন্তু বাঙালীর বেলায় উল্টো হলো কেন?
কয়েক বছর আগে রোয়াংছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে কটু আহম্মেদ নামে এক কাঠুরিয়াকে প্রকাশ্য পিটিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় কা্উকে আসামী করে একটি মামলা পর্যন্ত হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান চহ্লা মং জানান, এটা বিচারের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। এবং থানায় শাহিন আক্তার জবানবন্দি দিয়েছেন।
অন্যদিকে রাঙামাটিতে আয়না চাকমাকে জেএসএস-এর সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ করে। ধর্ষণকারীদের পক্ষ নিয়ে জেএসএস বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।