আলীকদম জোনের উদ্যোগে সাঙ্গু দূর্বার শিশু নিকেতন’ স্কুল প্রতিষ্ঠা
বান্দরবান প্রতিনিধি:
আলীকদম জোনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি বিদ্যালয় জ্ঞানের আলো জালাাতে সহায়তা করবে। দেশ স্বাধীনের পর থেকে যেখানে কোন বিদ্যালয় ছিলনা, সেখানেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় দূর্গমের পাহাড়ি-অপাহাড়ি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার অপার সুযোগ সৃষ্টি হলো।
আলীকদম জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: মাহবুবুর রহমান পিএসসি’র একান্ত প্রচেষ্টায় লামা উপজেলার দূর্গম গয়ালমারা সন্ত্রাস প্রবন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হলো ‘ সাঙ্গু দূর্বার শিশু নিকেতন নামে’ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জন্ম থেকে যেসব শিশুরা কেবল সন্ত্রাসীদের আনাগোনা দেখে আসছিল, সে শিশুরা এখন থেকে শিক্ষার মতো একটি মৌলিক অধিকার পেতে শুরু করেছে। আলীকদম জোন মূলত: এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুদীর্ঘ কাল থেকে শিক্ষা বিস্তারেও ব্যাপক অবদান রেখে যাচ্ছে।
প্রাথমকি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিস্তারে সেনা বাহিনী আলীকদম জোন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি লামা উপজেলার দূর্গম গয়ালমার গ্রামে শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে জোন কমান্ডার লে: কর্নেল মো: মাহবুবুর রহমান পিএসসি গয়ালমারা গ্রামে ‘সাঙ্গু দূর্বার শিশু নিকেতন’ নাম করণে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
সকালে এই শিশু নিকেতনটির শুভ উদ্বোধন করেন আলীকদম জোনের সেনা কর্মকর্তারা। জোনের এই মহতি প্রয়াসে লামা ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদারসহ এলাকার অন্যরা সহায়তা করেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় জমি দিয়ে সহায়তা করেন স্থানীয়রা। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ফলে দূর্গমের উপজাতি এবং অউপজাতি শিশুরা এখন থেকে শিক্ষা মুখি হবে বলে স্থানীয়রা এমন প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।
তারা জানান, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের পাশাপাশি শিক্ষা, সিকিৎসাসহ জনগনের মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, দূর্গম গয়ালমারা গ্রামে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হওয়ায় শিশুরা শিক্ষা মুখি হবে একই সাথে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমে আসবে।
গয়ালমারা এলাকাটি লামা উপজেলার সর্ব দক্ষিণে একেবারে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে হওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ কষ্ট সাধ্য। এখানে একটি স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হলে এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চত হবে। লামা উপজেলার সন্ত্রাস প্রবন এলাকা গয়াল মারা গ্রামে সেনা কর্তৃপক্ষের এই উদার ও মানবিক প্রয়াসে উপজাতিরা খুবই মুগ্ধ হয়েছেন বলে সেখানকার হেডম্যান কারবারীরা জানিয়েছেন।