উখিয়া কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্টকে রোহিঙ্গাদের জন্য কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে: আরআরআরসি

fec-image

উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্টকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রূপান্তর করা হয়েছে। সেজন্য ট্রানজিট পয়েন্টের আগের গৃহটিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার, মেরামত, বেডসহ আনুসাঙ্গিক মালামাল, আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে একটি পরিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। কোন রোহিঙ্গা শরনার্থীকে কোয়ারান্টাইনে থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেই তাদের সেখানে রাখা হবে।

কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মাহবুব আলম তালুকদার (জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব) এ তথ্য জানান। আরআরআরসি (জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব) মো. মাহবুব আলম তালুকদার নিজেই সরেজমিনে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য প্রস্তুতকৃত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন দেখে এসেছেন। একইদিন তিনি উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলোও পরিদর্শন করেছেন বলে জানান, সেখানে তিনি স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক কার্যক্রম সহ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রমের কার্যকারিতা দেখে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনকালে তিনি অধিকাংশ রোহিঙ্গা শরনার্থীকে তাদের নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করতে দেখেন। ২/১ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী যারা ক্যাম্পের বাহিরে গেছে, তারাও অনুমতি নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় কাজকর্মে গেছে। এছাড়া ক্যাম্প এরিয়ায় যেসব বাজার ও দোকানপাট খোলা ছিলো সেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আরআরআরসি মো. মাহবুব আলম তালুকদার আরো বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনাগুলো বার্মিজ ভাষায় অনুবাদ করে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। যাতে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা সেগুলো বুঝে সহজে পালন করতে পারে। এ কঠিন সময়ে মসজিদে নাগিয়ে নামাজ দোয়া নিজ নিজ গৃহে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে তিনি সকল ক্যাম্প ইনচার্জদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান। কোন অবস্থাতেই কোন ধরনের জমায়েত নাহতে ক্যাম্প ইনচার্জ ও অন্যান্য দায়িত্বশীলেরা কড়া নজরদারি করছেন এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহতার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে অবিরাম কাজ করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উখিয়া, কুতুপালং, ট্রানজিট
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন