কুতুবদিয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনজীবীর সহকারীকে মারধরের অভিযোগ


কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হালিম সিকদারের বিরুদ্ধে আইনজীবীর সহকারীকে ফিল্মি স্টাইলে গাড়ী থেকে তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে বেঁধে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে কুতুবদিয়া আদালতের আইনজীবীর সহকারী মোহাম্মদ হোছাইন মারধরের শিকার হন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
জানা যায়, উত্তর ধুরুং আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার শফিউল আলম তাদের পারিবারিক জমির বিরোধ নিয়ে তার চাচাতো ভাই কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল আদালতের আইনজীবীর সহকারী ও দৈনিক বিকাল বার্তার কুতুবদিয়া প্রতিনিধি মো. হোছাইনসহ তাদের ৫ ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দেন। পরিষদ থেকে বেশ কয়েকটা নোটিশ দেয়া হলেও বিবাদীরা কেউ পরিষদে হাজির হয়নি। ফলে ইউপি চেয়ারম্যান একতরফাভাবে বাদীর পক্ষে একটা মতামত প্রতিবেদন দেন। এটি নিয়ে বাদী পক্ষ গত মাসের ৫ তারিখে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিলে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হোসেন চৌধুরী বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন।
আইনজীবীর সহকারী মো. হোছাইন বলেন, তিনি প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে টমটম যোগে আদালতে যাচ্ছিলেন। উত্তর ধুরুং পরিষদের সামনে এলে আজম রোডে ৭/৮ জন গ্রাম পুলিশ গাড়ি থামিয়ে ফিল্মি স্টাইলে তাকে তুলে নিয়ে হলরুমে আটকে রাখে। এসময় চেয়ারম্যানের সাথে তার ধস্তাধস্তি হয়। তাকে
আটকে রেখে বেঁধে মারধরও করা হয়। পরে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ৯৯৯ এ কল করা হয়। একই সাথে আইনজীবী এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট ফিরোজ আহমদ থানায় ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদ লাগোয়া বাসিন্দা কুতুবদিয়া আদালতের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ খালেদ জানান, সকালে জানালা দিয়ে তাকে ডাকেন আইনজীবীর সহকারী। কিন্তু চেয়ারম্যান হলরুমে প্রবেশে বাঁধা দেন। জানালা দিয়ে কথা বলতে বলেন। এক পর্যায়ে রুমে ঢোকার অনুমতি দিলেও তার মোবাইল রেখে যেতে বাধ্য করেন চেয়ারম্যান।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম সিকদার বলেন, জমির বিরোধের অভিযোগে তাদেরকে কয়েকটা নোটিশ দিলেও আইনকে অবজ্ঞা করে নানা ধরনের গালিগালাজ করেছেন আইনজীবীর সহকারী মো. হোছাইন। তাকে বেঁধে রাখা হয়নি। হলরুমে আটকে রাখা হয়েছিল। তার ওপরও চড়াও হন বলে জানান তিনি।
থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবীর বলেন, উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদে মো. হোছাইন নামে আইনজীবীর সহকারীকে আটকে রাখার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে একই সাথে চেয়ারম্যানকেও থানায় এনে উভয়কে চিকিৎসার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।