খুনের সাথে জড়িত সন্দেহে র‌্যাব’র হাতে গ্রেপ্তার ১

fec-image

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর তারেক হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।ওই সময় নিহত তারেকের হারানো মোবাইলও উদ্ধার হয় তার কাছ থেকে।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের বংকিম বাজার এলাকায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. মহসিন ফকির (২১), সে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার ভাগ্যকুল ৮ নং ওয়ার্ডের মো. ইমাম ফকিরের ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামে (সওদাগর পাড়া) বসবাস করে আসছে।

এঘটনার পর থেকে কে বা কারা এ খুনে জড়িত থাকতে পারে তার কোন রহস্য স্পষ্ট না হওয়ায় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রহস্য উন্মোচনে মাঠে কাজ শুরু করে। নিহতের মা গত ১১ এপ্রিল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এর সূত্র ধরেই র‌্যাব খুনিদের আটকে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং নিহতের চুরি হওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে র‌্যাব আসামি গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে র‌্যাব উক্ত আটক সন্দেহভাজন আসামিকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব-১৫ এর প্রেস নেটে উল্লেখ করা হয় স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় , আটক আসামি মহসিন ফকির বহিরাগত হলেও দীর্ঘদিন যাবত চুরি, ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত এবং এলাকার বিভিন্ন অপরাধ সংশ্লিষ্ট গ্যাং এর সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে।

ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, আলোচিত এ খুনের ঘটনায় র‌্যাব ১৫ যে আসামীকে আটক করেছে বলে প্রেস নোটে উল্লেখ করেছে, রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ধৃতকে থানায় হস্তান্তর করেনি । হস্তান্তর করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা নেবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল সেহেরি খাওয়ার পর ফজরের নামাজ আদায় করে মহাসড়ক সংলগ্ন ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ওয়াহেদেরপাড়া গ্রামের দিবা ব্রিকফিল্ড সংলগ্ন নিজ দোকানে গেলে সেখানে নৃশংস খুনের শিকার হয় ওই এলাকার মৃত ছগির আহমদের ছেলে তারেক (১৭)।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদগাঁও, কক্সবাজার, খুনে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন