পার্বত্য এলাকার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি- বিজিবি মহাপরিচালক
দীঘিনালা প্রতিনিধি:
আমরা কারো প্রতিপক্ষ নই, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেক সন্ত্রাসী গহীন জঙ্গল দিয়ে আনাগোনা করছে, সীমান্ত সুরক্ষা না থাকায়, এক দেশের সন্ত্রাসী অন্য দেশে যাতায়াত করছে। কিন্তু সীমান্তে টহল থাকলে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। সারা দেশের ন্যায় পার্বত্য এলাকার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক সময় সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার হয়ে থাকলেও বর্তমানে তা পুরো বন্ধ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ (বিজিবিএম, পিবিজিএম, পিএসসি, জি)।
এ সময় তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট সীমান্ত এলাকা ৪৭৯ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৩৫ টি বিওপি’র আওতায় ২২৮ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পার্বত্য এলাকার অরক্ষিত আরো ১৩২ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষার আওতায় আনা হবে।
গতকাল শুক্রবার দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর সদর দফতর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ (বিজিবিএম, পিবিজিএম, পিএসসি, জি) এসব কথা বলেন। এই উপলক্ষে দুপুরে বাবুছড়া বিজিবি সদর দফতরে পৌছলে ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে প্রথমে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে তিনি ব্যাটালিয়নের রেস্ট হাউজ, সৈনিক ডাইনিং হল, কুক হাউজ, চিত্তবিনোদন কক্ষ উদ্বোধন করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল হাবিবুল করিম, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল স ম মাহাবুব আলম, বিজিবি’র খাগড়ছড়ি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সাজ্জাদ, দীঘিনালা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মহসিন রেজা ও বাবুছড়া ৫১ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামাল আহমেদ পিএসসি।
পরে তিনি চট্টগ্রাম ফেরার পথে ৫১ বিজিবি’র আওতায় শীলছড়ি বিওপি পরিদর্শন করেন।