প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে গেলো সু চি’র
মিয়ানমারে নেতা অং সান সু চি’র প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে গেলো। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বাধা হয়ে থাকা সংবিধানের যে ধারাটি রয়েছে, সেই ধারা পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে মিয়ানমারের পার্লামেন্ট। যার ফলে সু চি‘র প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বাদ ভেস্তে গেলো।
বুধবার (১১ মার্চ) এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। তবে সংশোধনী প্রস্তাবের উপর ভোটের ফলাফলও প্রত্যাশিত ছিলো। কারণ সেনাবাহিনী এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করে আসছে। আর সেনাবাহিনীর দ্বারাই বর্তমান সংবিধান প্রণীত। সংবিধানে কোন ধরনের পরিবর্তনের বিরোধিতা করার মতো পর্যাপ্ত আসন সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বে রয়েছে।
সু চি’র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমক্রেসি (এনএলডি) সংবিধানের বেশ কিছু ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করে। এর বেশিরভাগ সেনা-সমর্থিত এমপি’রা আটকে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রস্তাবগুলোর উপর ধারাবাহিকভাবে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে যা ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
এর আগে মঙ্গলবার মিয়ানমারের ২০০৮ সালের সংবিধানে সেনাবাহিনীকে যে রাজনৈতিক ক্ষমতা দেয়া হয় তা খর্ব করার জন্য ভোটাভুটি হয়। তাতেও হেরে গেছে এনএলডি। প্রস্তাবটি প্রয়োজনীয় ৭৫ শতাংশ এমপি’র সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর থেকে পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত আসনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলো এনএলডি। এর মধ্যে ২০২৫ সালের পর ১০ শতাংশ ও ২০৩০ সালের পর ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবটি ৪০৪ ভোট পায়, যা ৬২ শাতংশের কম। সংবিধান সংশোধনের জন্য অন্তত ৭৫ শতাংশ এমপি’র সমর্থন প্রয়োজন।