বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়িতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে একটি নির্বাচনী গাড়িতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে গুলিবিদ্ধ ১১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয় গতকাল সোমবার (১৮ মার্চ)।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে এ সহিংসতা ঘটে। এতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ৮ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ভোট গণনা শেষে উপজেলার সাজেক বাঘাইহাট থেকে বাঘাইছড়িফেরার পথে ৯ কিলোমিটার নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
বাঘাইছড়িতে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৬ জনের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত যাদের নাম নিশ্চিত হওয়া যায় তারা হলেন- আনসার-ভিডিপি সদস্য মো, আল আমিন, বিলকিস, জাহানারা, মন্টু চাকমা, মিহির কান্তি দত্ত, মো. আমির হোসেন (শিক্ষক কিশোলয় প্রাথমিক বিদ্যালয়)।
গুলিবিদ্ধ ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ সদস্য ৪ জন, শিশু ১ জন, নারী ২ জন, আনসার ৩ জন। আরও একজনকে নিশ্চিত করা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাঘাইছড়ির সাজেকের কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে সেখানে দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে গাড়িযোগে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ফিরছিলেন। পথে বাঘাইছড়ির ৯ কিলোমিটার নামক এলাকায় গাড়িটির ওপর লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ার করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা।
এছাড়া আজও রাঙামাটির বিলাইছড়ির উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যা করা হয়।
পাহাড়ের শান্তি পূর্ণ পরিবেশকে নষ্ট করায় ও নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পার্বত্য অধিকার ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়েছে।
অন্যথায় পাহাড়ের নিরীহ মানুষ নিজেদের জীবন বাঁচাতে নিজেরাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।