বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুরের মুর্চনায় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ২৫ বছর পূর্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোক সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে উৎসবের প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য্য, জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রশিদ আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফারুখ আহম্মদ প্রমূখ।
এ উৎসবে জেলার পাহাড়ি ৯টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, বাঙালি শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী ও শিল্পীরা অংশ নেয়। এতে মারমা, বম, ত্রিপুরা, চাক, খেয়াং, ম্রো, খুমি, চাকমা, তংচংঙ্গ্যাসহ ৯টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ও বাঙালি শিল্পীরা তাদের নিজস্ব লোকজ সংস্কৃতি তুলে ধরে। এ ছাড়া বাঙালি সম্প্রদায়ের চিরায়িত সংস্কৃতি ও নাচে-গানে ফুটিয়ে তুলে ধরে বাঙালি শিল্পীরা।
উৎসবে পিঠা মেলা, বান্দরবান পার্বত্য জেলার ম্রো লোকসংগীত ও লোকননৃত্য, চাক লোকসংগীত, বম লোকসংগীত ও লোকনৃত্য, চাকমা লোকসংগীত, খুমী লোকসংগীত ও লোকনৃত্য, খেয়াং লোকসংগীত, ত্রিপুরা লোকসংগীত ও লোকনৃত্য, তঞ্চঙ্গ্যা লোকসংগীত, মারমা লোকসংগীত ও লোকনৃত্য, বাংলা লোকসংগীত (বিশেষ আমন্ত্রণে), বাংলা লোকনৃত্য আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বরেণ্য লোকশিল্পীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
লোকসংগীত, লোকনৃত্য ও লোকনাট্য শিল্পীগণ তুলে ধরবেন তাদের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত লোকজ সংগীত, নৃত্য ও নাট্যের অমূল্য ভাণ্ডার, যা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যসমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে করে রেখেছে বৈচিত্রময়, অনন্যসাধারণ ও মহিমান্বিত।
এই ব্যাপারে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এর পরিচালক মং নু চিং বলেন, এই আয়োজন লোক সংস্কৃতির অমূল্য ভাণ্ডার সযত্নে লালন করতে আরো অনুপ্রাণিত করবে।
3 Replies to “বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুরের মুর্চনায় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ২৫ বছর পূর্তি”