ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে পাহাড়ি ৮ সংগঠনের বিবৃতি
জেলা সংবাদদাতা, রাঙামাটি:
প্রথাগত ভূমি আইনের স্বীকৃতি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনরত ৮টি পাহাড়ি সংগঠন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে সংগঠনগুলো এই দাবি জানায়। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারি সবগুলো সংগঠনই ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “গত কয়েক দশকে ব্যক্তিগত ও সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন হাজার হাজার একর জমি জোরপূর্বক অথবা নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে বহিরাগত কর্র্তৃক বেদখল করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে হাজার হাজার পাহাড়ি পরিবার নিজ জমি থেকে উৎখাত ও নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্মরণাতীতকাল থেকে বিদ্যমান প্রথাগত ভূমি অধিকারের ভিত্তিতে প্রণীত একটি শক্তিশালী আইন ছাড়া এসব বেদখলকৃত জমি ফিরে পাবার কোন সম্ভাবনা নেই।”
এছাড়া নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের স্বার্থে সংবিধানে প্রথাগত ভূমি আইনের স্বীকৃতি প্রদান, ভূমি কমিশন আইনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি’র যথাযথ ব্যাখ্যা, ৭(৫) ধারাকে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক করা এবং ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির শুনানীতে হেডম্যান ও কার্বারীদের লিখিত মতামত গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্য চিং মারমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রভা চাকমা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।