মাটিরাঙ্গায় ফুটবল ভক্তদের ১ হাজার ফিট আর্জেন্টিনার পতাকা
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বে ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ‘ফুটবল বিশ্বকাপ’। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ফুটবল ভক্তদের মাঝে বইছে উল্লাসের বন্যা। এতে বাংলাদেশি ফুটবল ভক্তরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই।
দীর্ঘ চারবছর পর বিশ্বকাপকে কেন্দ্রকরে আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা। প্রতিবারের মতো পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ফুটবল ভক্তদের মাঝে বইছে ফুটবল জ্বর ।
এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার দুর্গম পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল মাটিরাঙ্গা পৌর সভার ১নং ওয়ার্ড ১০নং মুসলিমপুর গ্রামের যুবকদের উদ্যোগে বানানো আর্জেন্টিনার ১ হাজার ফিট পতাকা ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে চারদিকে। নিজেদের অর্থায়নে তৈরি এই পতাকা নিয়ে প্রতিদিনই এলাকার শিশু-কিশোর, তরুণ, যুবক থেকে নানা বয়সী মানুষ আনন্দে মেতে উঠেছেন। সবার কন্ঠে আর্জেটিনা বন্দনা। তাদের এই উদ্যোগ ও ভালোবাসাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার আর্জেন্টিনা সমর্থকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা উপলক্ষে মাটিরাঙ্গা পৌর সভার ১নং ওয়ার্ড ১০নং মুসলীমপুর গ্রামের তিন যুবক চনি ত্রিপুরা, নুর উদ্দিন ও সোহরাব আর্জেন্টিনার পতাকা বানানোর উদ্যোগ নেয়। পরে এলাকার আরো আর্জেটিনা সমর্থক তাদের সাথে এক মত পোষণ করে নিজেদের মধ্যে টাকা তুলে পতাকা তৈরির টাকা সংগ্রহ করে। সেই টাকা দিয়ে আর্জেন্টিনার বিশালাকার পতাকাটি বানানো কাজ করা হচ্ছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এলাকায় পর্যাপ্ত কাপড় না থাকায় এক সাথে সম্পূর্ণ পতাকা তৈরি করতে পারেনি। ২শ ফিট পতাকা তৈরি করা হয়েছে। বাকি ৮শ ফিট পতাকা তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আর্জেন্টিনার সমর্থকদের আশা, লিওনেল মেসির হাতে উঠবে এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা। যার ফলশ্রুতিতে মাটিরাঙ্গার ১নং এলাকায় জড়ো হয়ে আনন্দে মেতে উঠে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। সুদূর বাংলাদেশর দুর্গম পাহাড়ি জনপথ খাগড়াছড়ি থেকেই উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন মাটিরাঙ্গার আর্জেন্টিনা ভক্তরা।
আর্জেন্টিনার সমর্থক চনি ত্রিপুরা, খগেশ্বর ত্রিপরা ও সোহরাবসহ বেশ কয়েকজন পার্বত্যনিউজকে বলেন, মাটিরাঙ্গার বেশিরভাগ মানুষই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের ভক্ত। নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে ১ হাজার ফুট দৈর্ঘের পতাকা বানানো হয়েছে।
চনি ত্রিপুরা বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে আর্জেন্টিাকে ভালোবাসি, বড় একটি পাতাকা বানানোর স্বপ্ন আমার। অর্থনৈতিক কারণে তা করা সম্ভব হয়না। এবার কয়েকজন মিলে অর্থ যোগান দিয়ে পতাকা তৈরি করছি। আমাদের কাছে টাকা নাই। বড় পর্দায় খেলা দেখার সাধ থাকলেও সাধ্য নাই। তাই এলাকার বড় টিভিতে সবাই আনন্দ ভাগাভাগি করে খেলা দেখবো।
আশা করছি এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা উঠবে লিওনেল মেসির হাতে।