রাঙামাটিতে বনভান্তের ৮তম পরিনির্বাণ বার্ষিকী উদযাপন
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মীয় মহাগুরু শ্রাবক বুদ্ধ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ৮তম পরিনির্বাণ বার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজবন বিহারের উদ্যোগে দিনব্যাপী এ বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।
এদিকে দিনটি উপলক্ষ্যে বিহার কমিটির উপাসক-উপাসিকাবৃন্দ গুরুর প্রতি সন্মান প্রদর্শন পূর্বক ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান পালন করছেন।
রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান জানান, শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের দিনটিকে স্মরণ রাখতে বুদ্ধমূর্তি দান, সঙ্ঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, বিশ্বশান্তির উদ্দেশে টাকা দান, হাজার প্রদীপ দানসহ নানাবিধ দানের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করা হবে।
এদিকে ভোর সারে ৫টার দিকে পরমপূজ্য বনভান্তের পবিত্র দেহধাতে বনভান্তের শিষ্যসঙ্গের প্রধান এবং রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রদ্ধেয় প্রজ্ঞালঙ্কার মহাথের মহোদয় পুষ্পাঞ্জলী শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করেন। ক্রমান্বয়ে রাজবন বিহার জৌষ্ঠ ভিক্ষুসঙ্গেরাও একে একে পুষ্পাঞ্জলী দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পূজনীয় ভিক্ষুসঙ্ঘ অনুষ্ঠান মঞ্চে গমন করেন। এর পরে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন, পূজ্য বনভান্তের শিষ্যসঙ্ঘের প্রধান এবং রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রদ্ধেয় প্রজ্ঞালংকার মহাথের এবং রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকার পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান।
এরপর পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন, রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু, অমিয় খীষা।
অনুষ্ঠানমালায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্ত, পুণ্যার্থী ও উপাসক-উপাসিকার ঢল নামে।
২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে দেহত্যাগের মাধ্যমে মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত হন বনভান্তে। বর্তমানে বনভান্তের মরদেহ রাজবন বিহারে বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। বনভান্তের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। দীর্ঘদিন বনে বনে সাধনার মাধ্যমে অরহত্বের অলৌকিক জ্ঞান অর্জন করায় বিশ্বজুড়ে বনভান্তে নামে পরিচিত তিনি।