আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ভূমি কমিশন আইন বাতিল না করলে কঠোর কর্মসূচী: আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিতর্কিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ এর সংশোধনী- ২০১৬ বাতিল এবং বান্দরবানে আটক বাঙ্গালী নেতা আতিকুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এবং পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ। রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
পার্বত্য ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন সাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন পাঁচ বাঙ্গালী সংগঠনের আহ্বায়ক, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ সংসদে উত্থাপন বন্ধ করে তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালী উচ্ছেদের নীল নকশা হিসেবে গত ১ আগস্ট ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সংশোধনী আইন ২০১৬ মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করে দ্রততার সাথে সকলকে ফাঁকি দিয়ে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ৯ আগস্ট গেজেট আকারে প্রকাশ করার মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত সংখ্যাগরিষ্ট বাঙ্গালীদের বঞ্চিত করে সেখান থেকে বিতাড়নের সাইরেন বাজানো হয়েছে।’
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে সন্তু লারমা ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা তার সহযোগীরা ভূমি কমিশন বিরোধী আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পার্বত্য বাঙ্গালী আন্দোলনে নিয়োজিত শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে হয়রানির অপচেষ্টা করছে। অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে শীঘ্রই তাকে মুক্তি দিতে হবে’।
পাঁচ বাঙ্গালী সংগঠনের নেতা আতিকুর রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানীর মূল উদ্দেশ্য বাঙ্গালী নেতাদেরকে আন্দোলন কর্মসূচী থেকে দূরে রাখা এবং বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচীকে দমন করা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এজন্যই সন্তু লারমার দালাল ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা তার সহযোগীদের ইশারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘সংসদে উত্থাপিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সংশোধনী-২০১৬ বিলটি আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাতিল করতে হবে। এছাড়া বান্দরবানে আটক বাঙ্গালী নেতা আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে।অন্যথায় আজ (রবিবার) থেকে আগামী ৭২ ঘন্টা পর তিন পার্বত্য জেলায় কালো পতাকা উত্তোলন, হরতাল কর্মসূচী ঘোষণাসহ আরো কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করাহবে’-বলেও হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন পাঁচ বাঙ্গালী সংগঠনের এই নেতা।
উক্ত মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জাহান খান, ‘দূর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন’র সংগঠক মো: হারুন-অর-রশিদ খান প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য বাঙ্গালী নেতারা।