আনোয়ার হত্যাকাণ্ডের আসামীরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥
মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার প্রলোভনে নিয়ে যাওয়ার পর নৃশংসভাবে খুন হওয়া আনোয়ার হোসেন (২২) হত্যার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও খুনীরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে। হত্যা মামলা নিয়ে জটিলতার মধ্যে পড়েছে নিহতের পরিবার।
খুন হওয়া আনোয়ারের নিজ বাড়ী খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় হলেও, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানা এলাকায় নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পরও মামলা নিয়ে পুলিশের গড়িমশির কারণে বিভান্তিতে পড়েছে নিহতের স্বজরনারা। এখনো লাপত্তা নৃশংস খুনের সন্দেহ ভাজন জসিম উদ্দিন (৩৮) ওরফে মোঃ সাইফুল ইসলাম (নিহতের আপন ফুফাতো বোনের জামাতা)।
মামলার বিষয়ে রামগড় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শাহাজাহান ও গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইউসুফ হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল সীতাকুন্ড হওয়ায় মামলা সীতাকুন্ড মডেল থানায় করার পরমার্শ দেন। দ্রুত এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটক ও দৃষ্টাস্তমুলক শান্তির দাবী জানিয়েছে নিহতের বড় ভাই মোশাররফ হোসেন ও স্থানীয়রা। তবে কি নগদ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই এই খুন?
উল্লেখ, ২৭অক্টোবর সোমবার থেকে নিখোঁজের পর বুধবার সন্ধ্যায় সীতাকুন্ডু এলাকার তেরিয়াল নামক নদীর পাড়ে থেকে সীতাকুন্ড মডেল থানা পুলিশ আনোয়ারের ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করে। পরে গুইমারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাযা শেষে গুইমারা কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। নিহতের পরিবার পক্ষ থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর ২৮অক্টোবর গুইমারা থানায় সাধারণ ডায়রী করে।
খুনের সাথে জড়িত সন্দেজ ভাজন জসিম উদ্দিন (৩৮) ওরফে মোঃ সাইফুল ইসলাম এর বাড়ী চট্টগ্রামের মীরসরায় উপজেলার মাদবারহাটের ইছাখালীর লুদ্দাখালী এলাকায়। গুইমারায় তার বাড়ী না হলেও সে গুইমারা বিয়ে করে দীর্ঘদিন ছিলো।