আভ্যন্তরীন সড়কের বেহাল দশা, বান্দরবানের চার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

বান্দরবানের চার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে লোকজন বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

কিন্তু ভেঙে গেছে বিভিন্ন উপজেলার আভ্যান্তরীণ গ্রামীণ অনেক সড়ক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের বীজতলা। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

বান্দরবান সদর, লামা ও নাইক্ষংছড়িতে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারী ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু আলীকদম উপজেলার দুর্গতদের মাঝে কোন ত্রাণ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এবিষয়ে মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, আলীকদমে বন্যা হয়েছে। কিন্তু সে বন্যা বেশীক্ষণ স্থায়ী ছিলনা। তাই কাউকে সরকারী ত্রাণ দেয়া হয়নি। তারপরও ইউপি চেয়ারম্যানদের বলেছি ক্ষতিগ্রস্থদের সাম্ভাব্য তালিকা তৈরী করতে।

এদিকে নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি নামলেও রামু-নাইক্ষংছড়ি প্রধান সড়কের ফরেষ্ট অফিস এলাকায় বন্যার পানি জমে থাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বিভিন্ন উপজেলার ইউপি সদস্যরা জানিয়েছেন, বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে আভ্যন্তরীন গ্রামীন সড়কগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। যা যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে দেশের সবচেয়ে উঁচু থানচি-আলীকদম সড়ক পাহাড়ী ঢলে ১২ কিলোমিটার এলাকায় চারটি স্থানে ভেঙ্গে ও দেবে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাহাড়ি এলাকায় আকা-বাঁকা ১২ ফুট চওড়া সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করে সেনা বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উঁচু সড়কটি উদ্বোধন করেন।

এব্যাপারে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নায়রুজ্জামান বলেন, ধ্বসে যাওয়ার কারণে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ চালু হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন