আলীকদমের বিপনী বিতানে ঈদ-প্রবারণার আমেজ

Alikadam Eid_Puja News pIc

মমতাজ উদ্দিন আহামদ, আলীকদম (বান্দরবান):

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় বিপনী বিতানগুলোতে এখন উৎসবের আমেজ। পূজার কেনাকাটা শেষ। এবার মুসলমানদের ঈদ ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবের কেনাকাটা চলছে হরদম। উপজেলার বাজারের বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোয় ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে।

দেখা গেছে, উপজেলার আলীকদম বাজার, পান বাজার ও রেপাড় বাজারে বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো নানা রঙের বাহারী পোশাকে সাজানো হয়েছে। বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোয় আলোকসজ্জা বাড়ানো হয়েছে। পূজার কেনাকাটার পর ঈদ ও প্রবারণা উৎসবের কেনাকাটায় উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নতুন নতুন নানা রঙের বাড়তি পোশাকে ভরে গেছে দোকান। সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। ক্রেতা সামলাতে বিক্রেতাদের ব্যস্ততায় দম ফেলার ফুসরত নেই। সাম্প্রতিক সময়ে আলীকদম বাজারে বেশ কিছু নারীবান্ধব বিপণি বিতান গড়ে উঠেছে। নারীরা এসব বিপণি বিতানে বেচা-বিক্রি করেন। যার ফলে এসব বিপণি বিতানগুলোয় নারী ক্রেতাদের ভীড় বেশি হয়। নারীবান্ধব বিপণি বিতানগুলোয় নারী ও শিশুদের পোশাক আর সাজসজ্জ্বার সামগ্রী বেশি বেচা-কেনা হয়। শাড়ি, শেলোয়ার ও কামিজের চাহিদা বেশি। আর শিশুদের টি-শার্ট ও জিন্স প্যান্টের কদরও রয়েছে।

সোমবার হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দূর্গা পূজা শেষ হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে মুসলিমদের কোরবানির ঈদ ও বৌদ্ধদের প্রবারণা উৎসবের আমেজ। পরপর তিনটি উৎসবের দিনক্ষণে সব সম্প্রদায় মানুষ উৎসবের ভেলায় ভাসছে। ক্রেতাদের মন কাড়ানো নানান রঙের পোশাক আর প্রসাধনী স্থান পেয়েছে বিপণি বিতানগুলোয়। পোশাক তৈরী কাজে দর্জিদের নির্গুম রাত কাটছে। বিকেল বেলায় ক্রেতাদের ভীড় দেখা যায় বেশি। আজ হাটবারের শেষ দিনে ফুটপাটের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভীড় বেড়েছে বেশ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষ কেনাকাটা করেছেন ফুটপাটের দোকানগুলোয়। আলীকদম বাজারে প্রিয়াংকা টেইলার্সের মালিক হ্লামংচি মারমা বলেন, বিপণি বিতানগুলোতে পোশাক কেনা হলেও বেশিরভাগ তৈরী হয় স্থানীয় টেইলার্সগুলোয়। তাই দর্জিদের ওপর চাপ বেড়েছে। বিপণি বিতানগুলোয় দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে বড়দের চেয়ে শিশুদের পোশাকের দাম বেশী। পোশাক তৈরীর দর্জির দোকানে ব্যস্ততা বেড়েছে। দর্জির দোকানে পুরুষদের প্যান্ট, শার্ট আর নারীদের শোলোয়ার, কামিজ তৈরীর হিড়িক পড়েছে। সবমিলিয়ে দর্জিদের কদর বেড়েছে বেশ। তবে বিপণি বিতানগুলোয় পুরুষের চেয়ে নারীদের ভীড় বেশি দেখা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন