কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে যুবক অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে এক যুবক অপহরণের শিকার হয়েছেন।

সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাহাড়ি জনপদ ঈদগাঁও- ঈদগড় সড়কের পানেরছড়া ঢালায় এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃত যুবকের নাম তারেক (২৩) রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ধুমছকাটার মো. ওসমানের ছেলে।

অপহৃতের এলাকার ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে তারেক তার টমটম নিয়ে ঈদগাঁও বাজার থেকে ঈদগড় যাচ্ছিলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন শহিদুল ইসলাম, জাহেদ ও আব্দুল খালেক নামে আরো তিন যুবক। পথিমধ্যে পাহাড়ি জনপদ ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পানের ছড়া ঢালায় অপহরণকারীদের কবলে পড়ে তারা।

তিনি আরো জানান, অপহরণকারীরা আব্দুল খালেক ও জাহেদকে ছেড়ে দিলেও তারেক ও শহিদুলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ি জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে পাহাড়ের এক আস্তানা থেকে অন্য আস্তানায় নিয়ে যাওয়ার সময় অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে যায় শহিদুল। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তারেকের পরিবারের কাছে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে অপহরণকারীরা।

অপহৃত তারেক স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলমের ভাগিনা।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আগামী শুক্রবার তারেকের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। বিয়ের দাওয়াত পত্র অর্ডার করতে বন্ধু শহিদুলকে নিয়ে ঈদগাঁও বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার পথে ধুমছকাটা এলাকার আরো দুই যাত্রী উঠে তার গাড়িতে। তবে অপহরণকারীরা তারেক ও তার বন্ধু শহিদুলকে নিয়ে গেলেও অন্য দু’জনকে ছেড়ে দেয়।

ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম আরো জানান, শহিদুল পালিয়ে ফিরে আসলেও তার মোবাইল ফোন অপহরণকারীদের কাছে রয়ে গেছে। সেই নম্বর থেকে ফোন করে তারেকের মা হোসনে আরার কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। তারেকের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। তাদের পক্ষে মুক্তিপণ দেয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি জানেন না বলে জানান তিনি।