কক্সবাজারে ইজতেমার ময়দানে লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়
কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজারে মিনি ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে পর্যটন গলফ মাঠে লাখো মুসল্লিরা আজ জুমার নামাজ আদায় করেছেন। জুমার নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ আনাস। জুমার নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকে কক্সবাজার ও এর আশপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা পায়ে হেটে ও দুরদুরান্ত থেকে গাড়ী নিয়ে ইজতেমা ময়দানে আসেন।
এর আগে বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
শনিবার দুপুরে আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে এই প্রথম অনুষ্ঠিত মিনি ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হবে। ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে বিপুল মানুষের স্রোতের কারণে কক্সবাজার শহরের আশেপাশের সড়কগুলোতে সকাল থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পর্যটন গলফ মাঠে স্থান সংকুলন না হওয়ায় অনেককেই দেখা গেছে খোলা জায়গায় খবরের কাগজ, জায়নামাজ, পলিথিন ও হোগলা বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
ইজতেমাস্থলে বিদেশী ও সাধারণ মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্যসহ বিভিন্ন গোয়েন্দাসংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দানে কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাহারছড়া নবজাগরন সংসদ পানি সরবারহ ও আগত মুসল্লীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য মাঠে অবস্থান করছেন।
ইজতেমায় বাস টার্মিনাল থেকে আসা হালিম জানান, আল্লাহর রেজামন্দি হাসিলের উদ্দেশ্যে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করলাম।
ইজতেমার সমন্বয়ন মাওলানা আবু বক্কর জানান, বিদেশী মুসল্লিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক মুসল্লি বিভিন্ন মেয়াদী চিল্লার নিয়ত করে জামাতবন্দি হয়ে ইজতেমা ময়দানেই রয়েছে। তারা আখেরী মোনাজাত শেষ করে তাবলীগের কাজে বিভিন্ন অঞ্চলে বেরিয়ে যাবেন। মুসল্লিদের সুশৃংখল অবস্থানের জন্য ইজতেমা ময়দানে চটের তৈরি পুরো প্যান্ডেলকে বিভিন্ন খিত্তায় ভাগ করে বিভিন্ন উপজেলাওয়ারী মুসল্লিদের অবস্থানের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
জুমার নামাজে স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।