কক্সবাজারে এখনো জমে ওঠেনি ঈদ বাজার

Cox 1 copy

ছৈয়দ আলম :
কক্সবাজার শহরে এখনো জমে ওঠেনি ঈদের বাজার। যদিও অভিজাত বিপণী-বিতানগুলোর সম্মুখে বিশাল বিশাল তোরণ, দোকানে দোকানে বাহারি পণ্যের সমাহার, ঈদের স্পেশাল অফারও দিয়েছেন কেউ কেউ। বিক্রেতাদের তরফ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। তারপরও শপিংমলগুলোতে আসতে শুরু করেনি ক্রেতারা। যারা আসছেন তারাও ঘুরে ফিরে দেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন ঈদুল আযহার কেনাকাটা। ফলে বিক্রেতাদেরও সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে নিজেদের সংগ্রহশালার ঈদের নতুন চমক খুলে দেখানোর মধ্যে।

বর্তমানে কক্সবাজার শহরে ঈদের বাজার অনেকটা ফাঁকা বললে চলে। শহরে মূলত বিদেশ থেকে ও দেশীয় ইনকামে আসা আত্মীয়-স্বজনদের টাকায়ই মূলত ঈদের কেনাকাটাটা সেরে নেন অধিকাংশ জেলাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতবছরের ন্যায় এবার বৈশ্বিক মন্দা একটু কেটে গেলেও ঈদুল ফিতরের সময় নতুন জামা-কাপড় থাকাই অনেকে ঈদুল আযহার সময় কেনাকেটা করেনা। সেই হিসেবে এবারে প্রভাব পড়েছে ঈদের বাজারে। তবে ব্যবসায়ীদের মতে, যেহেতু কোরবানী ঈদ তাই সবাই গরু, মহিষ ও ছাগল কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত থাকাই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বড় বড় শপিং মলের মত ফুটপাতে ঈদের বাজারের অবস্থাও প্রায় একই রকম। এ নিয়ে স্বভাবতই কিছুটা হলেও হতাশার ভর করেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে আরো দেখা গেছে, পানবাজার রোডের ফিরোজা শপিং কমপ্লেক্স, সালাম মার্কেট, নিউ মার্কেট, আপন টাওয়ার, হকার মার্কেট, পৌরসভা মার্কেট, বাজারঘাটা সৈকত টাওয়ার, বার্মিজ মার্কেট, ফজল মার্কেট, কোরাললীফ, আমেনা শপিং কমপ্লেক্সসহ ব্যবসায়ীরা তীর্থের কাকের ন্যায় দোকান খুলে সারাদিন বসে থাকেন ক্রেতার আশায়।

তাদের ধারণা, ঈদ আসতে আরো ৬ দিন সময় বাকী থাকলেও কয়েকদিন পর একটু দেরি হলেও শিগগিরই চাঙ্গা হয়ে উঠবে কক্সবাজারের ঈদ মার্কেটগুলো। কক্সবাজার শহরে সরেজমিন ঘুরে আরো দেখা যায়, শপিংমলগুলোতে ব্যবসায়ীরা নানা রঙ-ঢঙে দোকান সাজিয়ে রেখেছেন।

শহরের অন্যতম ফ্যাশন নক্ষত্রের ম্যানেজার ফায়সাল উদ্দিন খোকা জানিয়েছেন, ক্রেতারা দোকানে আসছে ঠিকই কিন্তু খালি হাতে বের হয়ে যাচ্ছেন। তাদের ধারণা এখন ক্রেতারা মার্কেট যাচাই করছেন। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার তারাই রেকর্ড পরিমাণ ছাড় দিচ্ছেন। সর্বোচ্চ ৭০% ডিসকাউন্ট দেয়া হচ্ছে। এই অফার ঈদের পূর্ব রাত পর্যন্ত থাকবে।

আপন টাওয়ার এর সামনে রেজা প্লাজায় মাইন ফ্যাশন এর সত্তাধিকারী মামুন জানান, গত রমজানের শুরুতেই ঈদের বাজার জমে উঠেছিল। কিন্তু এবার তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাই মার্কেটে খুব একটা ভিড় নেই। একদম বেঁচাবিক্রি নেই। তাই রাতদিন ক্রেতাশূণ্য অলস সময় পার করতে হচ্ছে।

তবে স্বল্পমূল্যের দোকানগুলোর মধ্যে শহরের লালদীঘির পাড়, পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে, এন্ডারসন রোড ও পানবাজার রোডের হকার মার্কেটগুলোসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ বাজার তেমন জমে না উঠলেও মোটামুটি বেঁচা-কেনা হচ্ছে।

শহরের অধিকাংশ বিক্রেতা বলেন, ২/১ দিন পরে জমে ওঠবে বাজার। সেই প্রত্যাশায় দিন গুনছেন তারা। এরই মধ্যে ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠবে ঈদ বাজার বিক্রেতাদের এটাই প্রত্যাশা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন