কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা: জোরদার নিরাপত্তা

fec-image

বিশ্বমানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর পর বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরকে ঘিরে চতুর্দিকে সাজ-সাজ রব। তিনি ইনানী সৈকতে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌ মহড়া উদ্বোধনের পাশাপাশি জনসভায় ভাষণ দিবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার। আওয়ামীলীগ নেতারা বলছেন, দলের সভাপতির জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ৪ স্তরের নিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামীকাল (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রথমে ইনানী সৈকতে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌ মহড়া উদ্বোধন করবেন। এই মহড়ায় ৩০টি দেশের নৌপ্রধান অংশগ্রহণ করবেন। যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কক্সবাজারকে নতুন করে আলোচনায় আনবে। পরে বিকেলে দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে পুরো শহর সেজেছে নানা আঙ্গিকে। স্বাগত জানিয়ে টাঙানো ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ড-পোস্টারে ছেয়ে গেছে সড়ক-উপসড়ক। সড়ক সংস্কারের পাশাপাশি লাইটিং ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধুম পড়েছে তোরণ নির্মাণের।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ার যে ৩০টি দেশের নৌপ্রধান আসবেন তা কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনায় আনবে বলে জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে জানান দলীয় নেতারা।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, এবারের জনসভাটি কক্সবাজারবাসী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশের জন্য সূবর্ণ সুযোগ হিসেবে নিয়েছে। সমাবেশে অন্তত ৫ লাখের বেশি জনসমাগম হবে। কেবল শেখ কামাল স্টেডিয়াম নয়, পুরো কক্সবাজার শহর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে জনসভা সফল করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কক্সবাাজর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জানান, প্রধানমন্ত্রী ভাল করেই জানেন এই জেলায় আর কি কি প্রয়োজন। তাই প্রাপ্তির জায়গা নিয়ে সন্তুষ্টি জেলাবাসী।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ জানান, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে শেখ হাসিনার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তবে কক্সবাজারেও যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রস্তুত জেলাবাসী।

সবশেষ ২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন দলীয় জনসভায় বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যা এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, নিরাপত্তা, প্রধানমন্ত্রী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন