কক্সবাজারে শেষ হলো তিনদিন ব্যাপী ইজতেমা, আখেরি মোনাজাতে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা

20151219_120102নিজস্ব প্রতিনিধি:

ক্ষমা ভিক্ষা-আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আল্লাহর দরবারে হাত তুলেছিল লাখো মুসল্লি। আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে কক্সবাজার সমুদ্র তীরের বিয়াম ল্যাবরেটরী সংলগ্ন ময়দান। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হল কক্সবাজারে তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়া মিনি ইজতেমা। দুপুরে আখেরী মোনাজাতে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হওয়া ইজতেমা গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে শেষ হল শনিবার। শনিবার ফজরের নামাজের পর থেকে আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে কক্সবাজার সমুদ্র তীরের এই মাঠে লাখো মুসল্লির ঢল নামে। কাকরাইলের তাবলিগ মার্কাজের শীর্ষ মাওলানা মোহাম্মদ হোছাইন আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন। লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতিতে দুপুর ঠিক ১২ টায় মোনাজাত শুরু হয়ে ১২.১৫ মিনিটে শেষ হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ১০টার মধ্যে আখেরি মুনাজাতে অংশ নিতে আসার মুসল্লিরা পুরো ইজতেমা ময়দান ও চারপাশ কানায় কানায় পূর্ণ হয়। শনিবার বাদ ফজর থেকে বয়ান করেন কাকরাইলের শীর্ষ আলেমগণ। শেষ দিনে আম ও খাসবয়ানে মুরব্বিরা দ্বীনের দাওয়াত, মেহনত, তাবলিগের উদ্দেশ্য, আগামী এক বছরের করণীয় এবং নতুন জামাতের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন।

মুরব্বিরা বলেন, মানুষের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে দ্বীনের দাওয়াতে ব্যস্ত থাকা। দ্বীনের মেহনত মূলত প্রতিটি মানুষের প্রকৃত কাজ। এ কাজ নবীওয়ালা কাজ। মেহনতের মাধ্যমে দিল জিন্দা করা যায়। যে যত বেশি মেহনত করবে, সে তত বেশি কামিয়াবি হাসিল করবে। দুনিয়া হচ্ছে ক্ষণস্থায়ী। দুনিয়াকে কেউ যদি স্থায়ী ঠিকানা মনে করে তাহলে ভুল হবে। দুনিয়াই থেকে আখেরাতের বাণিজ্য করে নিতে হবে। আল্লাহর তরিকা অনুসারে জীবন চালাতে হবে।

দেশ বিদেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশ নেয়া কক্সবাজারের মিনি ইজতেমায় মোনাজাতে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দু‘ হাত তুলে মুসলিম উম্মার শান্তি ঐক্য সুখ ও সমৃদ্ধি চাওয়া হয়। ইজতেমা শেষে সকল মুসল্লি একসাথে জামাতবদ্ধ হয়ে দুপুরের নামাজ আদায় করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন