কক্সবাজার জেলা পরিষদের ডাকবাংলো থেকে কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার জেলা পরিষদের ডাকবাংলাে থেকে আয়ুব আলী (৩৭) নামে এক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে প্রধান সহকারী রেজাউলের অফিস সহকারী বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে ১৯ নং কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।নিহত আয়ুব চকরিয়া উপজেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিষদের হিসাবরক্ষক আব্দুল মান্নান। তিনি জানান, আইয়ুব আলী খুবই শান্তশিষ্ট চরিত্রের। কি কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আমাদের কারো বোধগম্য হচ্ছে না। অফিসে কারো সাথে ঝগড়া বিবাদও হয়নি।
ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার জাফর আলম জানান, বুধবার বেলা ১ টার দিকে চাবি নিয়ে রুমে যান আয়ুব আলী। কিছুক্ষণ পর উপরে গেলে দরজা খোলা দেখে প্রবেশ করেন। এ সময় ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান জাফর।
আয়ুবের স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, মঙ্গলবার রাতে শহরের বাহারছড়ার বাসায় ছিল। বুধবার সকাল ১১ টার দিকেও বাসায় যায়। সেখান থেকে অফিসে গিয়েছে। পরে বেলা দুইটার দিকে রেজাউলের বরাত দিয়ে ডাক বাংলোর স্টাফ জাফর আলম আমাকে ফোন করে ডাকেন। পৌনে চারটার দিকে ১৯ নম্বর কক্ষে স্বামীর লাশ দেখতে পেয়েছি। ঘটনা রহস্যজনক মনে হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে রেজাউল জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। আইয়ুবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেন স্ত্রী মমতাজ বেগম।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। তবে শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে।