কক্সবাজার ফিসারীঘাট এলাকায় ৪৬ মন মাছ জব্দ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের ফিসারীঘাট এলাকায় ৪৬ মন মুছ কাটা (গুইজ্জা) মাছ জব্দ করেছে পুলিশ। সন্দেহ করা হচ্ছে এসব মাছ ডাকাতি করা হয়েছে। অন্যদিকে মাছের মালিকের দাবি মাছগুলো ডাকাতির নয় ক্রয়কৃত। এ নিয়ে চলছে উত্তেজনা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে ফিসারীঘাট সংলগ্ন বিএফডিসির সম্মুখ থেকে বোট ভর্তি এসব মাছ জব্দ করা হয়। মাছগুলো মালিক শফিউল আলম বাশির নতুন বাহারছড়ার মৃত আব্দুল গণির ছেলে।
কক্সবাজার সদর থানার এসআই মনোয়ার হোসেন জানান, ফিসারীঘাট এলাকার ব্যবসায়ীরা মাছ জব্দ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল আল মাসুদ আজাদসহ অন্যান্যদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে ফিশিং বোট মালিক আমির হোসেন, নুরুল আমিন খোকা ও হাসানের বোট থেকে মাছ ডাকাতি হয়। তাদের দাবি জব্দকৃত মাছগুলো তাদের কাছ থেকে ডাকাতির মাধ্যমে ছিনিয়ে নেয়া মাছ। শফিউল আলম বাশির ডাকাতদের কাছ থেকে ওসব মাছ নিয়ে ফিসারীঘাটে বিক্রি করতে এনেছে।
এদিকে অভিযুক্ত শফিউল আলম বাশির বলেন, এসব মাছ ডাকাতির মাছ নয়। তিনি ক্রয় করেছেন আরেক মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। উদ্দেশ্যমুলকভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ অবস্থায় পুলিশ খতিয়ে দেখছে ওসব মাছ আদো ডাকাতির মাছ কিনা। তবে আপাত মাছগুলো বিক্রি করে ফেলা হয়েছে। আর বিক্রির টাকা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির কাছে রাখা হয়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল আল মাসুদ আজাদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফিসারীঘাট এলাকায় কিছু ব্যবসায়ী ডাকাতদের কাছ থেকে মাছ ক্রয় করছে। তাদের সাথে ডাকাতদের যোগসাজস রয়েছে। আর জব্দ করা এসব মাছ ফিসরীঘাটের বোট মালিকদের মাছ। যা গত কয়েকদিন আগে ডাকাতি হয়েছে। এছাড়া শফিউল আলম বাশিরসহ আরো কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে এ অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
শফিউল আলম বাশির জানান, তিনি কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি ও ফিশিং বোট মালিক সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন। অভ্যন্তরিন বিরোধের কারনে ডাকাতির মাছ নিয়েছে বলে তাকে ফাসানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ওসব মাছের মূল বিক্রেতা ঘটনাস্থলে আসছে। তখন প্রমাণ হবে ওসব মাছ ডাকাতির মাছ নয়।
এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করেনি। বিষয়টি তদন্তাধিন রয়েছে। আর এনিয়ে ফিসারীঘাট এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা।