কুরবানীর পর সরকার পতন আন্দোলন- আবদুল আউয়াল মিন্টু

DSC05897

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
দেশের বর্তমান সংবিধান মহান আল্লাহ প্রদত্ত কোনো ওহি নয়, এটা মানুষের বানানো। আর এই মানুষের প্রয়োজনেই সংবিধান সংশোধন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় দাবি আদায়ে এবার আগামী কোরবানির ঈদের পর সরকার পতনের মতো কঠোর আন্দোলন কঠোর কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শিল্পপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু। আর এ আন্দোলন সফল করতে এবং তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন বিএনপির এই নেতা।

সাংগঠনিকভাবে দলীয় কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে চেয়ারপার্সনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে পর্যটন শহর রাঙামাটি সফরে এসে জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল আউয়াল মিন্টু এসব কথা বলেন। বর্তমান মহাজোট সরকারের পেটোয়া বাহিনী, ক্যাডার বাহিনীর সমালোচনা করে মিন্টু নিজের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, “যে তে আমনার ঘরে ঢুকে আমনারে মাইরবেল্লাই অনেত্তুন হেতেরে আর ছাড়ন যাইত ন ” অর্থাৎ যে আপনার ঘরে ঢুকে, আপনাকে মারার জন্য, এখন থেকে তাকে আর ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তাকেও যথোপযুক্ত জবাব দিতে হবে।

রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক ম্যা মা চিং মারমা, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান শামীম, রবীন্দ্র লাল চাকমা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম। জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হলরুমে আয়োজিত এই প্রতিনিধি সভায় পুরো রাঙামাটি জেলার প্রথমসারির ২২০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন এবং সভায় দলের সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম পনির।

সভায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকা তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকোসহ অন্যান্য জাতীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ও পরিকল্পিত পূর্ব নির্ধারিত রায়ের মাধ্যমে হয়রানীর প্রতিবাদে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয় সভায় শুরুতে। সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দখলদার বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে। দখলদার এই গোষ্ঠিকে উৎখাত করে বিতাড়িত করা দেশের আপামর জনগণের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। তাই নাগরিক হিসেবে এই নৈতিক দায়িত্ব পালনে দেশনেত্রী ঘোষিত একদফার আন্দোলনে ঝাপিঁয়ে পড়তে হবে। বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে রাজপথে আর তাই সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই।
আগামীতে বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে দেশের রত্ন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যদের হত্যা, হেফাজত কর্মীদের রাতে অন্ধকারে গুলিকরে হত্যা করে লাশ গুম, পদ্মাসেতু কেলেঙ্কারি, হলমার্ক কেলেঙ্কারীসহ সকল দুর্নীতির বিচার করবে দেশের আপামর মানুষ। সভায় বর্তমান সময়ে পার্বত্যাঞ্চলে বিএনপিসহ বিভিন্ন সহযোগি সংগঠনে উপজাতীয় জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ায় বর্তমান কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধান অতিথি।

সভায় তৃণমুল পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদান অতিথির মাধ্যমে দলীয় চেয়ারপার্সনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে পার্বত্যাঞ্চল নিয়ে বিশেষ ঘোষণার দাবি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন