খাগড়াছড়িতে তিন সংগঠনের আলোচনা সভায় সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি

khagrachari,30.06.2016

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
‘সংবিধানে বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন মানি না’ এই শ্লোগানে “সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ‘১১ নির্দেশনা’ প্রত্যাহারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে এক প্রতিবাদী আলোচনা সভা করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুর ২টায় খাগড়াছড়ি সদরে অনুষ্ঠিত সভায় বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় নেতা নতুন কুমার চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি লালন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক দ্বিতীয়া চাকমা।

বক্তারা বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে ৩০ জুন সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করে বাংলাদেশে বসবাসরত সকল জাতিসত্তাসমূহের উপর জোরপূর্বক বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়েছে। সংখ্যালঘু জাতির জনগণের আপত্তি ও প্রতিবাদকে তোয়াক্কা না করে সরকার আজও উক্ত আইন সংবিধানে বহাল রেখেছে। এর মাধ্যমে সরকার বাঙালি ভিন্ন অন্যান্য জাতির অস্তিত্বকে অস্বীকার করে চলেছে।

বক্তারা আরো বলেন, একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতিসত্তা কখনো অন্য জাতীয়তার পরিচয়ে পরিচিত হতে পারে না। একজন বাঙালি যেমন কখনো চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা নামে পরিচয় লাভ করতে পারে না, ঠিক তেমনি একজন চাকমা, মারমা, ত্রিপুরারাও বাঙালি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারে না।

সভায় ইউপিডিএফ নেতা নতুন কুমার চাকমা তৎসময়ে গঠিত সংবিধান সংশোধনী কমিটির কাছে ইউপিডিএফের পেশকৃত দাবিনামা পড়ে শোনান।

তিনি সরকারের ফ্যাসিস্ট কায়দায় অন্য জাতিকে দমন-পীড়ন ও চিরতরে ধ্বংস করার সুপরিকল্পিত ষড়ষন্ত্রের বিরুদ্ধে সকল জাতিসত্তার শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন