খাগড়াছড়িতে বিএনপি নেতা ওয়াদুদ ভূইয়ার বাসভবনে সন্ত্রাসী হামলা ও অগ্নিসংযোগ
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ জুন) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের একটি মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়। মিছিলটি আদালত সড়ক ঘুরে টাউন হলের সামনে চেতনা মঞ্চে যাওয়ার পথে মিছিলের পিছনের অংশের ৩ থেকে ৪ জন দুষ্কৃতিকারী কলাবাগান এলাকায় ঢুকে তান্ডবলীলা চালায়। প্রথমে তারা রাস্তায় থাকা একাধিক মোটরসাইকেল ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে ভাঙ্গচুর করে ওয়াদুদ ভূইয়ার প্রাইভেট কার, লাইট পো্স্ট ও ঘরের আসবাসপত্র।
এছাড়াও কয়েকটি গাড়ি ভাঙ্গচুর করার পাশাপাশি আগুন দেওয়া হয় মোটরসাইকেলে। চলে যাওয়ার সময় পথে তারা হামলা চালায় স্থানীয় দোকানপাটসহ বিভিন্ন বাড়িতে। বাদ যায়নি বাংলাভিশনের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, পার্বত্যনিউজের ব্যুরো চিফ ও খাগড়াছড়ি টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল’র বাড়িও। হামলার পর সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল’র কলেজ পড়ুয়া মেয়েটি আতংকে কাপছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
এই হামলার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার এ হামলার জেলা আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সমাবশে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতা ওয়াদুদ ভূইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে মিছিল নিয়ে এসে এই হামলা চালানো হয়েছে। এসময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলো বলেও অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিলটি ভাঙ্গা ব্রিজ অতিক্রম করার সময় পিছন দিক থেকে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগের ৫ থেকে ৬ নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রশীদ বলেন, হামলাকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ঠেকানোর মতো শক্তি পুলিশের ছিল না হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।