খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় তৃতীয়দিনের মত পরিবহন ধর্মঘট চলছে:অচলাবস্থা-জনদুর্ভোগ

khagrachari paribahon strick 3rd day  02

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় আজ শুক্রবার তৃতীয়দিনের মত পরিবহন ধর্মঘট চলছে। পরিবহন সেক্টরে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের ব্যাপক চাঁদাবাজি, গাড়ী লক্ষ্য করে গুলি, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর,  শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, পরিবহন চলাচলে নিরাপত্তা বিধান এবং সড়ক সংস্কারসহ ৮ দফা দাবীতে ১৮টি পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত  পার্বত্য জেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলায় অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।

পরিবহন ধর্মঘটের কারনে দুরপাল্লা এবং আভ্যন্তরীন সকল সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হলেও চলছেনা প্রাইভেট ইঞ্জিন চালিত গাড়ীও। ধর্মঘটের পক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
 জেলার রামগড়ের সোনাইপুল এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শেষ মুর্হুত্বে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। 

টানা তিনদিনের পরিবহন ধর্মঘটের কারণে খাগড়াছড়িতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নিত্যপন্যের মুল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। পুলিশ,বিজিবি ও সেনাবাহিনী কর্মরত এবং সাধারণ মানুষকে পায়ে হেঁটে এবং মটর সাইকেল, টমটমে ভেঙ্গে ভেঙ্গে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে নারী ,শিশুদের কষ্টের শেষ নেই। ফটিকছড়ির বাগান বাজার এলাকা থেকে ফেনীর উদ্দেশ্যে বাস,সিএনজি চলাচল করলেও বাড়তি বাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছে যাত্রীরা।

এ দিকে  বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ করীমের সাথে পার্বত্য জেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আড়াই ঘন্টার  বৈঠক কোন রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই  শেষ হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ করিম জানান, পরিবহন মালিকরা ৮ দফা দাবী পূরনের কথা বলেছেন। এর মধ্যে অবৈধ ভাবে চলাচলরত মোটর সাইকেল, মাহিন্দ্র ও সিএনজি চলাচল বন্ধসহ ৩ দফা দাবী পূরনের আশ্বাস আমি দিয়েছি। কিন্তু বাকী দাবীগুলো আমার এখতিয়ারে নেই। যে কারণে সমাধানের কোন আশ্বাস আমি দিতে পারিনি। তাই তারা ধর্মঘট অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

সংগঠনের নেতা এসএম শফি জানিয়েছেন, দাবীসমূহ পুরনে সরকারের উর্ধতন পর্যায়ের মন্ত্রী বা সরকারী কর্মকর্তার যথাযথ আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট চলবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন