টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ

ঘূর্ণিঝড় মোখায় সব শেষ, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই!

fec-image

ঘূর্ণিঝড় মোখায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের অসংখ্য বসতবাড়ি। ভেঙ্গেছে গ্রামীন পথঘাট। নষ্ট হয়ে গেছে খেত-খামার, পানের বরজ। উপড়ে পড়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি। চোখের সামনেই ভেসে গেছে অনেকের শেষ সম্বল টুকুন।

বুধবার (১৭ মে) দুর্গত এলাকায় গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

দেখা গেল, চারিদিকে ধ্বংসযজ্ঞ। তীব্র বাতাসে ভেঙে তছনছ হয়েছে বসতবাড়ি। সামান্য ঘেরাবেড়া ও ছাউনি দাঁড় করানোর টাকাও নেই অনেকের। খুব করুণ দৃশ্য। কেবল চোখের পানি ঝরছে অসহায় মানুষগুলোর।

মাঝের পাড়ার ৫ ছেলে ৩ মেয়ের জনক ৮০ বছরের বয়োবৃদ্ধ কবির আহমদ। গেল রবিবার (১৪ মে) দুপুরে তীব্র বাতাসে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে তার বসতবাড়ি। এখনো সেভাবে পড়ে আছে। সরকারি বেসরকারি কোন সহায়তা পৌঁছেনি। মেরামতের টাকাও নেই তার হাতে।

পার্শ্ববর্তী আরেক বৃদ্ধার একমাত্র কুড়েঘরটি ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙ্গে তছনছ। ঘরের আসবাবপত্র সব ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে। থাকার জায়গা নেই। পরের ঘরে কাটছে রাত।

ক্ষতিগ্রস্ত নুর হালিম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে আমার বাড়ির সব বিলীন হয়ে গেছে। অনেক মালামাল ছিল। সব নষ্ট হয়ে গেছে। আমি মাছের ব্যবসা করি। ২ লাখ টাকার মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। আমার সব শেষ।

এদিকে, বুধবার দুপুরে শাহপরীর দ্বীপের দুর্গত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনে যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কথা বলেন। সহমর্মিতা জানান। শেষে কিছু শুকনো খাদ্যও তুলে দেন।

এ সময় তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগে থেকেই সরকারের সব বিভাগের সাথে সমন্বয় করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও আল্লাহর রহমতে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে আমরা বেঁচে গেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান শুরু করেছি। তালিকা করে সবাইকে সহায়তার আওতায় আনা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ওসি মো. আবদুল হালিম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুবীর কুমার দত্ত, আওয়ামী লীগ নেতা সোনা আলী, স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম, আব্দুল মান্নানসহ বিভিন্ন এলাকার নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, ঘূর্ণিঝড়, দ্বীপ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন