ঘূর্ণিঝড় মোখায় রোহিঙ্গা শিবিরে ১৩০০ ঘর বিধ্বস্ত

fec-image

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

আজ রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানে। এ সময় ঘরগুলো আংশিক বা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির শিকার হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে উখিয়ার বালুখালী ১০ নম্বর ক্যাম্পে। এখানে ২৩২ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া উখিয়ার ৬ নম্বর ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০৯টি ঘর। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ২১টি লার্নিং সেন্টার, ১৬টি মসজিদ ও মক্তব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকা তিন হাজার পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়। আরআরআরসি মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গা শিবিরের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে—এ শঙ্কা তাঁদের মধ্যে ছিল। এখন বিধ্বস্ত ঘরগুলো সংস্কারে দ্রুত কাজ শুরু হবে। বৃষ্টি থামলে কাল–পরশুর মধ্যে সংস্কারকাজ শুরু হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘর ঠিক করার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এনে রাখা হয়েছে।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত উখিয়ার কুতুপালং ওয়ান ওয়েস্ট রোহিঙ্গা শিবিরের নূর হাসিনা বলেন, হঠাৎ বাতাস এসে তাঁর ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। বৃষ্টিতে ঘরের জিনিসপত্র ভিজে গেছে। রাতে কীভাবে থাকবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

কুতুপালং টু ইস্ট শিবিরের মোহাম্মদ খালেক জানান, গাছ পড়ে পুরো ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সতর্ক থাকায় তাঁরা বেঁচে গেছেন। কিন্তু পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে কোথায় যাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় আছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উখিয়া, বাড়িঘর, মোখা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন