চকরিয়ায় পাহাড় কেটে চলছে অবৈধ বসতি নির্মাণ


চকরিয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়ায় বরইতলী বন বিটের অধীনে ছেমছড়ি পাড়া এলাকায় পাহাড় কেটে চলছে অবৈধ বসতি নির্মাণ। প্রকাশ্যে চলছে বন বিভাগের পাহাড় কেটে অবৈধ বসতি নির্মাণের মহোৎসব। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের আওতায় বরইতলী বানিয়ারছড়া বন বিটের মালিকানাধীন ছেমছড়ি পাড়ায় একাধিক পাহাড় জবর দখলে নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীচক্র সহযোগীতায় দীর্ঘদিন ধরে দাপট দেখিয়ে পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার কাজ। বন বিভাগের কতিপয় লোকজন গোপনে আর্থিক সুবিধা নিয়ে এ ব্যাপারে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এ অবস্থার কারণে পাহাড় দখল ও কাটার সাথে জড়িতরা উৎসাহিত হচ্ছে। বন বিভাগের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে অনেকটা নিশ্চুপ রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার সচেতনমহল।

অনুসন্ধানে জানাগেছে,দুয়েক মাস আগে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পূর্বে উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি জনপদে শুরু হয়েছে নির্বিচারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি ও সমতল জায়গা বানিয়ে সেখানে অবৈধ বসতি নির্মাণের হিড়িক।সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রভাবশালী লোকজন ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা কর্মীদের ম্যানেজ করে এ সব বসতি নির্মাণে ও পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে সুত্রে জানায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী বনবিটের অধীন ছেমছড়ি পাড়ায় চলছে পাহাড় কেটে সমতল জায়গা তৈরি করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক।বরইতলী ইউনিয়নের ছেমছড়ি পাড়ায় স্থানীয় রেপাতী দত্তের পুত্র টুনটুন,বীরেন্দ্র দে’র পুত্র বসন দে ও চান মোহনের পুত্র চন্দন বন বিভাগের পাহাড় কর্তন করে তৈরি করছে বসতি নির্মাণ।তবে স্থানীয় সচেতনমহল অভিযোগ করেন, স্থানীয় বনকর্মীরা গোপনে আর্থিক সুবিধা নিয়ে দখলবাজচক্রের লোকজনকে বনবিভাগের পাহাড় দখল ও কেটে মাটি লুটের জন্য সুযোগ দিচ্ছে।এ কারণে পাহাড়ের ভেতরে বেশিরভাগ এলাকা বর্তমান সমতল এলাকায় পরিণত হয়েছে। সেখানে গড়ে উঠছে নতুন নতুন অবৈধ জনবসতি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিন বন বিভাগের চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বরইতলী বনবিটের অধীন ছেমছড়ি পাড়া এলাকায় পাহাড়কেটে স্থাপনা নির্মাণ করার ঘটনাটি কেবল আপনার কাছেই জানলাম। সকালে ওইখানে বনবিটের বনকর্মীদের লোকজন পাঠিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।তিনি বলেন,পাহাড় কাটার ঘটনাটি অনুসন্ধানকরে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন